আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তালমিলিয়ে চলতে গিয়ে মানুষ হয়ে পড়ছে দ্রুতগামী। ব্যস্ত শহরে যান্ত্রিকতার ভিড়ে হাজার হাজার কিলোমিটার কয়েক মিনিটে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে মানুষ। আর এর মাধ্যম হিসেবে অতীতে বিমান যাত্রাই সব থেকে দ্রুত যাত্রা ছিল। সেখানে গতির হের ফের থাকায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতের প্রধান সফরসঙ্গী এখন ট্রেন।
চলুন বিশ্বের ১০ দ্রুতগামী ট্রেন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
YHT Train:
তুরস্কের Yuksek Hize Train দেশের একমাত্র দ্রুততম রেল সার্ভিস। ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার গতিতে চলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে। দু ঘণ্টার কম সময়ে ট্রেনটি ১৫০ মাইলের বেশি যেতে পারে।
THSR Train:
তাইওয়ানের THSR 700 হলো কাওয়সাকি হেভি ইন্ডাস্ট্রি, নিপ্পন শারো এবং হিটাচি লিমিটেডের হাইস্পিড ইলেকট্রিক ট্রেন। ২০০৭ এ তাইপে সিটি ও কাউশিয়াংয়ের মধ্যে প্রথম চালু হয়। এক ধাক্কায় যাত্রা সময় সাড়ে চার ঘণ্টা থেকে কম হয়ে যায় দেড় ঘণ্টা।
KTX Train:
দক্ষিণ কোরিয়ান ট্রেন এক্সপ্রেসের এই হাইস্পিড ট্রেনটি Incheon International Airport থেকে শুরু করে সিওল, স্টেশন সহ নানা স্টেশন ছুঁয়ে যায়। যদিও ২১৭ mph এর পরিকাঠামো রয়েছে তবে ট্রেনের গতি ১৯০ mph এ বেঁধে রাখা হয়।
TGV Duplex Train:
ফ্রান্সের দ্রুতগামী ট্রেন সার্ভিস TGV Duplex ২০১১ সালে লঞ্চ হয়। ট্রেনটি ২০০ mph পর্যন্ত গতিতে চলতে পারে। ৫০৮ আসন বিশিষ্ট এই ট্রেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরের মাঝে ছুটে চলে।
DeutscheBahn ICE Train:
সমস্ত জার্মানি জুড়ে ছুটে চলে দ্যl ইন্টার-সিটি এক্সপ্রেস বা ICE। আরামদায়ক এই ট্রেন ২০৫ mph পর্যন্ত গতি তুলতে পারে। প্রত্যেকটি বগি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, সিটের সঙ্গে হেডফোন জ্যাক থাকে যাতে যাত্রাপথে গান শোনা বা অন্যকিছু চাইলে শুনতে পারেন যাত্রীরা।
AVE Train:
Alta Velocidad Espanola (AVE) হলো Renfe পরিচালিত স্পেনের হাইস্পিড ট্রেন সার্ভিস। ৩,১০০ কিলোমিটার ট্র্যাকে ২১৭ mph পর্যন্ত গতিতে ছুটতে পারে। স্পেনের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি ছুঁয়ে যায় AVE।
Frecciarossa 1000 Train:
ইতালির AnsaldoBreda ও Bombardier Transportation নির্মিত Frecciarossa 1000 হাইস্পিড ট্রেন সার্ভিস। ২২০ mph পর্যন্ত গতিতে চলতে পারে। এক্সিকিউটিভ, বিজনেস, প্রিমিয়াম ও স্ট্যান্ডার্ড এই চার শ্রেণিতে ৪৮৫ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারেন।
NTV Alstom AGV 575 Train:
Alstom এর ডিজাইন করা আরেকটি হাইস্পিড ট্রেন AGV 575। নেপলস এবং মিলানে এই ট্রেনের পরিষেবা পাওয়া যায়। পারমানেন্ট ম্যাগনেট সিনক্রোনাস মোটরের ব্যবহার গতির সৃষ্টি করে। তিনটি শ্রেণিতে ইন্টারনেট কানেকটিভিটি, টিভি এবং সিনেমার ব্যবস্থা রয়েছে।
Harmony CRH380A Train:
Harmony CRH380A বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম ট্রেন। ২৩৬ mph গতিতে চলতে পারে। ২০১০ সালে সাংহাই থেকে নানজিং রুটে প্রথম চালু হয়। হালকা অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি ট্রেনটি ৪৯৫ আসন বিশিষ্ট। সামনেটা মাছের মতো আকার। ট্রেনের এই আকারের জন্য হাওয়ার বিরুদ্ধে গতি তুলে ছুটে যেতে অসুবিধা হয় না।
Shanghai Maglev Train:
বিশ্বের দ্রুততম ট্রেনের ভিতর একটি চীনের Shanghai Maglev Train। ম্যাগনেটিক লেভিটেশন টেকনোলজি ব্যবহার করে মাত্র ৭ মিনিটে ১৯ মাইল পেরোতে পারে ট্রেনটি। Siemens এবং ThyssenKrupp এর তৈরি ট্রেনটি বিশ্বের একমাত্র বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত Maglev।
আরও পড়ুন : চার ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল শুরু