আগে থেকেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের আগে তামিম ইকবাল সরে যাওয়ায় ওয়ানডে দলের নেতৃত্বও পান এই অলরাউন্ডার। তখন থেকেই তিন সংস্করণের অধিনায়ক সাকিব। বিশ্বকাপ চলাকালে চোটের কারণে ছিটকে যান সাকিব। তখন কয়েক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর দেশে ফিরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সদ্য শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজেও অধিনায়ক ছিলেন শান্ত। নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণের অধিনায়ক থাকবেন এই তরুণ। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন শান্তকেই দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে এসব গুঞ্জন কিংবা ভাবনার ইতি টানা হলো। চোট থেকে ফিরলেই সাকিবকে তিন সংস্করণের অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
বিশ্বকাপ পর্যন্ত ওয়ানডে সংস্করণের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছিলেন, ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর একদিনের জন্যও তাকে অধিনায়ক হিসেবে দেখা যাবে না। বোর্ডও জানিয়েছিল, বিশ্বকাপ পর্যন্তই তাকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও এক মাসের ব্যবধানে উল্টো সুরে কথা বলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জালাল ইউনুস গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “সাকিবকে একটা লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে, আপনারা এটা জানেন। এটার মধ্যে বর্তমানে সে সব সংস্করণের অধিনায়ক। সাকিব আসলে আমরা ধরে নিচ্ছি সেই অধিনায়ক। এখন সামনে সে অধিনায়ক থাকবে কি থাকবে না, এরকম কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। নিজেও জানে যে সে এখনো অধিনায়ক।”
জালাল ইউনুস বলেন, “এখন আমরা শান্তকে দিয়েছি, তাকে বলেছি শুধু দুইটা সিরিজ। নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য তাকে আমরা অধিনায়কত্ব দিয়েছি। একটা সময় তো আসবে সাকিব অবশ্যই আর খেলা কন্টিনিউ করবে না। হয়তো কোনো ফরম্যাট কমিয়ে দেবে। আমাদের হাতে শান্ত আছে, মিরাজ আছে; আমরা যাদের সম্ভাবনাময় অধিনায়ক বলি। বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য তাদের আছে।”