মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর এলাকায় একটি নির্বাচনী কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ টি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসনের সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচর উচচ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুপুরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থক জয়নাল মাতুব্বরের লোকজনের সাথে ঈগল প্রতীকের তাহমিনা বেগমের সমর্থক সাইদুল শরীফের কর্মীদের সঙ্গে ভোট কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। পরবর্তী পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ভোটকেন্দ্রের সংঘর্ষের জের ছড়িয়ে পড়ে ঘটকচরের পাশের কাউয়াকুরি গ্রামের ভিতরে। এসময়ে গ্রামের পূর্ব বিরোধের জের হিসেবে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ টি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের কয়েকটি রান্না ঘর ও খড়ের পালায় আগুন দেয় সহিংসতায় অংশ নেওয়া লোকজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ, র্যা ব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মাহিনুর বেগম বলেন, আমি ঘটকচরে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে দেখি আমার ঘর ভাংচুর করেছে। এসময় ঘরে থাকা ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য রাখা ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের রান্না ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত সোলেমান হাওলাদার বলেন, আমার মেয়ে জামাইয়ের পাকের ঘর আগুন দিয়ে পোড়াই দিছে। গত বছর আমার মেয়ে জামাই মারা গেছে। এখন কী দিয়ে ঘর উঠামু বুঝতে পারছি না। একেবারেই শুধু শুধু ভোট নিয়ে এই গন্ডগোল করলো।
এই বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, ঘটকচর কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে কাউয়াকুড়ি গ্রামে পূর্বের গ্রাম্য দলাদলির বিরোধ থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়েই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মাদারীপুরে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল


এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মাদারীপুরে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল
প্রকাশিত: ১০:৪৯ অপরাহ্ণ, ৭ জানুয়ারি ২০২৪
মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটকচর এলাকায় একটি নির্বাচনী কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ টি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসনের সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ঘটকচর উচচ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুপুরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থক জয়নাল মাতুব্বরের লোকজনের সাথে ঈগল প্রতীকের তাহমিনা বেগমের সমর্থক সাইদুল শরীফের কর্মীদের সঙ্গে ভোট কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। পরবর্তী পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ভোটকেন্দ্রের সংঘর্ষের জের ছড়িয়ে পড়ে ঘটকচরের পাশের কাউয়াকুরি গ্রামের ভিতরে। এসময়ে গ্রামের পূর্ব বিরোধের জের হিসেবে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ টি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের কয়েকটি রান্না ঘর ও খড়ের পালায় আগুন দেয় সহিংসতায় অংশ নেওয়া লোকজনেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ, র্যা ব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মাহিনুর বেগম বলেন, আমি ঘটকচরে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে দেখি আমার ঘর ভাংচুর করেছে। এসময় ঘরে থাকা ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য রাখা ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের রান্না ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত সোলেমান হাওলাদার বলেন, আমার মেয়ে জামাইয়ের পাকের ঘর আগুন দিয়ে পোড়াই দিছে। গত বছর আমার মেয়ে জামাই মারা গেছে। এখন কী দিয়ে ঘর উঠামু বুঝতে পারছি না। একেবারেই শুধু শুধু ভোট নিয়ে এই গন্ডগোল করলো।
এই বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, ঘটকচর কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে কাউয়াকুড়ি গ্রামে পূর্বের গ্রাম্য দলাদলির বিরোধ থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়েই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।