সিরাজগঞ্জ নির্বাচনি সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা ঘর ছাড়া

,
সিরাজগঞ্জ নির্বাচনি সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা ঘর ছাড়া
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন পরবর্তি নৌকার সমর্থকদের সহিংতার কারনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) নির্বাচনি এলাকার প্রায় ২ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আতংকে বাড়ি ছাড়া অবস্থায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শতাধিক নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে এবং অন্তত: অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালে বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়া নিজ বাড়িতে নির্বাচন পরবর্তি সংবাদ সন্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন এ আসনের ঈগল প্রতিকের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বেলকুচিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর করার সাহস পায়নি। অথচ এমপি মমিন মন্ডলের ছত্রছায়ায় দলে যোগ দিয়ে ওই সব নব্য আওয়ামী লীগের ক্যান্ডার ও সন্ত্রাসীরা বর্তমানে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। হিন্দু পরিবারগুলোতে নির্যাতনের পাশাপাশি চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। অথচ অবাক করার বিষয় হলো ওই সব সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও স্থানীয় পুলিশ নিরব ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার দাবী করেন অন্যস্থায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আগামীতে বৃহৎ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতি।

সংবাদ সন্মেলনে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা অভিযোগ করে বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের তান্ডবের চেয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপরে বেশি তান্ডব চালিয়েছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা।

উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি, অথচ দলে নতুন যোগ দেওয়া বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানূর বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ ও নুরুল ইসলাম সাজেদুল, ইউপি চেয়ারম্যান সনিয়া সবুর আকন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গোপাল চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদসহ দলের বিভিন্ন স্তরের আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আব্দুল মমিন মন্ডল এমপির মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারি সেলিম সরকার বলেন, আমাদের লোকজন কোন সহিংসতা করছে না। বরং তারাই আমাদের লোকজনের উপর বার বার আক্রমন করায় অন্তত: ২৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, নির্বাচন পরবর্তিতে বেলকুচি ও এনায়েতপুরে সহিংতার ঘটনায় ৭টি মামলা হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। যে সব ঘটনা মামলা হওয়ার মত নয়, ওই সব বিষয়ে জিডি গ্রহণ করে তদন্ত করা হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগের বিষয়েও তদন্ত চলছে। আমরা তার সকল কার্যক্রমের ওপর সর্তক দৃষ্টি রাখছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সিরাজগঞ্জ নির্বাচনি সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা ঘর ছাড়া

সিরাজগঞ্জ নির্বাচনি সহিংসতায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীরা ঘর ছাড়া
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন পরবর্তি নৌকার সমর্থকদের সহিংতার কারনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) নির্বাচনি এলাকার প্রায় ২ হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আতংকে বাড়ি ছাড়া অবস্থায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। শতাধিক নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়েছে এবং অন্তত: অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালে বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়া নিজ বাড়িতে নির্বাচন পরবর্তি সংবাদ সন্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন এ আসনের ঈগল প্রতিকের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বেলকুচিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর করার সাহস পায়নি। অথচ এমপি মমিন মন্ডলের ছত্রছায়ায় দলে যোগ দিয়ে ওই সব নব্য আওয়ামী লীগের ক্যান্ডার ও সন্ত্রাসীরা বর্তমানে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে। হিন্দু পরিবারগুলোতে নির্যাতনের পাশাপাশি চাঁদা দাবী করা হচ্ছে। অথচ অবাক করার বিষয় হলো ওই সব সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও স্থানীয় পুলিশ নিরব ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার দাবী করেন অন্যস্থায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আগামীতে বৃহৎ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সভাপতি।

সংবাদ সন্মেলনে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা অভিযোগ করে বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের তান্ডবের চেয়ে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপরে বেশি তান্ডব চালিয়েছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা।

উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি, অথচ দলে নতুন যোগ দেওয়া বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশানূর বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ ও নুরুল ইসলাম সাজেদুল, ইউপি চেয়ারম্যান সনিয়া সবুর আকন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গোপাল চন্দ্র ও সাধারণ সম্পাদক কামাল আহম্মেদসহ দলের বিভিন্ন স্তরের আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আব্দুল মমিন মন্ডল এমপির মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার ব্যক্তিগত সহকারি সেলিম সরকার বলেন, আমাদের লোকজন কোন সহিংসতা করছে না। বরং তারাই আমাদের লোকজনের উপর বার বার আক্রমন করায় অন্তত: ২৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, নির্বাচন পরবর্তিতে বেলকুচি ও এনায়েতপুরে সহিংতার ঘটনায় ৭টি মামলা হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। যে সব ঘটনা মামলা হওয়ার মত নয়, ওই সব বিষয়ে জিডি গ্রহণ করে তদন্ত করা হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন, বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগের বিষয়েও তদন্ত চলছে। আমরা তার সকল কার্যক্রমের ওপর সর্তক দৃষ্টি রাখছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত