আড়াই মাস পর ফের রাজপথে মুখোমুখি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দু’দল কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ এবং বিএনপি কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি করবে।
৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে একই সঙ্গে দুই দলের এই প্রথম কর্মসূচি।
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার ঢাকাসহ মহানগরগুলোতে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামের প্রতিবাদ এবং কারাবন্দি নেতাকর্মীর মুক্তি, সংসদ বাতিল ও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি।
অন্যদিকে, বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, শনিবার বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালযয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই ‘শান্তি ও গণতন্ত্র’ সমাবেশ হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সেখানে বক্তব্য দেবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল শুরু হবে।
রিজভী বলেন, মিছিলের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মৌখিক অনুমতি পেয়েছে। নয়াপল্টন থেকে মিছিল শুরু হয়ে মগবাজার গিয়ে শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে দলটি।
অন্যদিকে, নির্বাচনের পর প্রথম কর্মসুচি হিসেবে শুক্রবার জেলায় জেলায় এবং শনিবার মহানগরে কালো পাতাকা মিছিলের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি গতবছর ধাপে ধাপে কর্মসূচি দিয়েছিল। তখনও বিএনপির কর্মসূচির দিন একই সময়ে শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি দিয়ে মাঠে ছিল আওয়ামী লীগ।
তবে, গত বছরের ২৮ অক্টোবর পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। তারপর দলটির সিনিয়র নেতাসহ সারাদেশে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। এই অবস্থায় নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। তখন রাজধানীরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে তারা। আর নির্বাচনের পরে লিফলেট বিতরণ ও ঘরোয়া সভা-দোয়া মাহফিলের মধ্যে কার্যক্রম সীমিত ছিল বিএনপি।