মাদারীপুরের ডাসার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তুহিনকে হুমকি দেয়াড় অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে । এই ঘটনায় এখন ক্ষোভ বিরাজ করছে মাদারীপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শাহরিয়ার তুহিন শুক্রবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেখানে কারো নাম উল্লেখ না করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করেন ‘ ছিলেন ড্রাইভার, গেছেন কোটিপতি বনে, আবার সরকারি জমি দখল করে করেছেন গরুর ফার্ম। জনসংযোগ করতেছেন উপজেলা নির্বাচনেও।’কিন্তু স্ট্যাটাসে কারো নাম উল্লেখ না করলেও এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডাসারের বালিগ্রাম ইউনিয়নের সৈয়দ আবেদ আলির ছেলে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম তার মুঠোফোন থেকে ডাসার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তুহিনকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদানসহ গালিগালাজ করেন।
ডাসার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার তুহিন বলেন, আমি কারো নাম উল্লেখ না করে একটি স্ট্যাটাস দেই। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ডাসারের বালিগ্রাম ইউনিয়নের সৈয়দ আবেদ আলির ছেলে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম মুঠোফোনে আমাকে হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ করে। ফেসবুকে তো আমি কারো নাম উল্লেখ করিনি। তিনি কেন গালিগালাজ করবেন বুঝলাম না।
তবে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের বাবা সৈয়দ আবেদ আলী একসময় গাড়িচালক ছিলেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বেলাল রিজভী বলেন, ফেসবুকে যদি মিথ্যা ও আপত্তিকর কিছু লিখে তাহলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করতে পারেন। কিন্তু হুমকি দেয়া ও গালিগালাজ কেন করবেন? এটা সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাঁধা দেয়ার শামিল।
ছাত্রলীগ নেতার হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অনিক বলেন, সৈয়দ সোহানুর রহমান ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তাকে ছাত্রলীগের কোন প্রোগ্রামে এখন পর্যন্ত পাইনি। নাম মাত্র পদে আছে। ছাত্রলীগের পদে থেকে নিয়মবহির্ভূত কোনো কাজ করার সুযোগ নেই। সাংবাদিকরা নিউজ করতেই পারে। তাকে কেন হুমকি দিবে।
তবে অভিযুক্ত সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাকে বাড়িতেও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি এস.এস শফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিককে হুমকি প্রদান করে থাকলে এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।