বায়ুদূষণে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে এই সময়ে আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ১৬৯। এই স্কোরকে “অস্বাস্থ্যকর” বলে বিবেচনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার একই সময়ে বিশ্বে বায়ু দূষণের শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি; শহরটির একিউআই স্কোর ১৭৯। আর ১৭০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।
বায়ুদূষণের এই পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সেটা সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়, সতর্ক করে।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে “মাঝারি” বা “গ্রহণযোগ্য” মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে “সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর” ধরা হয়।
দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয়। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষ। এই গোষ্ঠীতে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা মানুষেরা।
ঢাকার বায়ুদূষণের স্থানীয় উৎসগুলোর মধ্যে আছে যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া, নির্মাণকাজের দূষণ, আশপাশের ইটভাটার ধোঁয়া।
ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে আইকিউএয়ার যে পরামর্শ দিয়েছে, তার মধ্যে আছে, বাইরে বের হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।