সীমান্ত হত্যা বন্ধে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগে থেকেই অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, “দুই বাংলাদেশি ভারত সীমান্তে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছিল, তাই বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী) গুলি করে। বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) এর প্রতিবাদ জানিয়েছে, পতাকা বৈঠক হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘটনায় এখনও কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি বলেও জানান ড. হাছান মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার ও জাহাজ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে।
ড. ইউনূসের পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গাজায় যখন নারী-শিশুদের হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে তখনও ড. ইউনূস কোনো প্রতিবাদ জানাননি; উল্টো ইসরায়েলের এক ভাস্করের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। যা গাজায় গণহত্যা সমর্থনের শামিল।”
গত মঙ্গলবার নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হন। এছাড়া লালমনিরহাট সীমান্তে একজন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়।