বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে এক মাসে দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় শনিবার (৩০ মার্চ) মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “ম্যাডামের শারীরিক কন্ডিশন দেখে চিকিৎসকেরা তাকে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এখন তিনি করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন।”
খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল কোরের একটি সূত্র জানায়, তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুরো মেডিক্যাল টিম আছেন এভার কেয়ারে। সূত্র জানায়, তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি আশঙ্কাজনক নয়। তবে, স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।
তিনি জানান, মধ্যরাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা রাতেই গুলশানের বাসভবনে গিয়ে তার স্বাস্থ্যের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করেন। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে রাত তিনটার দিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এর আগে, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৩ মার্চ এভার কেয়ারে ভর্তি হন তিনি। শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন তিনি। করোনাভাইরাস মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান। সবশেষ গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছু দিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে তাকে।
সবশেষ গত ফেব্রুয়ারির শুরুতেও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছিল তাকে।