গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে গত ছয় মাসে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৬০০ সেনা নিহত হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় অভিযানের সময় আরও এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। ২০ বছর বয়সী ওই সেনার নাম নাদাভ কোহেন। এ নিয়ে গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৬০০ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন।
এর আগে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হন। ওই সময় বন্দি করা অনেকেই এখনও হামাসের হেফাজতে রয়েছে।
ওই হামলার পর থেকে থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩২ হাজারের ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।
২৩ লাখ ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। পাশাপাশি লেবানন ও সিরিয়ার কিছু অংশে বিমান হামলা করছে।
জাতিসংঘের মতে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে ভূখণ্ডের ৮৫% বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০% অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সতর্ক করে জানান, গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে এবং এটি হবে মানবসৃষ্ট। ইসরায়েল গাজায় আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
মার্কিন ও ইসরায়েলি সূত্রগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন সরকার ইসরায়েলকে ২৩০টি কার্গো-বিমান ও ত্রিশটি জাহাজ বোঝাই করে অস্ত্র পাঠিয়েছে।