ম্যাচের আলো পুরোপুরি নিজের দিকে নিয়ে নিতে পারতেন আলেহান্দ্রো গার্নাচো। কিন্তু স্টামফোর্ড ব্রিজে তার দলের একের পর এক ভুলের মাশুলে ২১ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড কোল পালমার বনে গেলেন নায়ক। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নিয়েছেন পালমার। শেষ সময়ে জোড়া গোল করে চেলসিকে এনে দিয়েছেন ৪-৩ গোলের জয়। অথচ কামব্যাকের গল্পটা হতে পারত ম্যানইউ’র।
ম্যাচের ৪ মিনিটেই চেলসি এগিয়ে যায়। ইংলিশ মিডফিল্ডার কনর গ্লাঘার বক্স থেকে গড়ানো শট নেন। ওনানার হাতের নিচ দিয়ে জালে চলে যায় বল। পেনাল্টি থেকে ১৯ মিনিটে লিড ২-০ করে ফেলেন পালমার। পেনাল্টি এসেছে লম্বা সময় পর ম্যানইউ’র শুরুর একাদশে ঠাঁই পাওয়া ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার অ্যান্টোনির কল্যাণে। বক্সের ভেতরে অহেতুক ফাউল করে পেনাল্টি দিয়ে দেন তিনি।
রোনালদো ভক্ত আর্জেন্টাইন তরুণ গার্নাচো ৩৪ মিনিটে দারুণ শটে এক গোল শোধ করেন। পাঁচ মিনিট পরই স্কোরলাইন ২-২ করে ম্যানইউ। অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেজ জোরালো হেডে বল জালে পাঠান। দ্বিতীয়ার্ধে দলকে লিড এনে দেন গার্নাচো। ৬৭ মিনিটে অ্যান্টোনির লম্বা পাস থেকে গোল করেন এই উইঙ্গার।
২-৩ গোলের লিড ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্ত ধরে রেখেছিল এরিক টেন হ্যাগের শিষ্যরা। অতিরিক্ত সময়ের ১০ মিনিটে গেলে পেনাল্টি থেকে পালমার গোল করে চেলসিকে ৩-৩ গোলের সমতায় ফেরান। এই পেনাল্টি এসেছে আবার ডিয়োগো ডালোর ভুলে। বক্সে ভারসাম্য হারিয়ে প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে নিয়ে পড়ে যান তিনি। এক মিনিট যেতে না যেতেই হ্যাটট্রিক করেন পালমার। তার নেওয়া শট বদলি নামা ম্যানইউ মিডফিল্ডার ম্যাকটমিনয়ের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
মোট কথা বেশ ধুন্ধুমার লড়াইয়ে ঘরের মাঠে জয় পেয়েছে চেলসি।