মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আনিসুল হক (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নারীসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৮ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে শহরের কাউতলী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় অপহৃত ব্যবসায়ীকে।
গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা হলেন- শহরের কান্দিপাড়ার দুলাল মিয়ার ছেলে শাকিল প্রকাশ লায়ন শাকিল (২৯), বিরাসারের মৃত শামছু মিয়ার ছেলে পান্না চৌধুরী (৩০), তার স্ত্রী জোনাকি ওরফে শিউলী (২৫), শিমরাইলকান্দি এলাকার জহিরুল হকের ছেলে এনামুল হক জুয়েল (৩০), একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে জোনায়েদ (২৭), বাসুদেব ইউনিয়নের দেলোয়ার খলিফার ছেলে সৌরভ (২২), শিমরাইলকান্দির রেনু মিয়ার ছেলে সাইমন ইসলাম ওরফে রাজু শিকদার (২৫), কান্দিপাড়ার শাকিলের স্ত্রী হাবিবা আক্তার (২৯) ও কলেজপাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনা সম্পর্কে ওসি জানান, শহরের কাউতলী এলাকায় বহুতল ভবন ভাড়া নিয়ে এই চক্রটি নারীদের মাধ্যমে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদ পেতে অপহরণসহ নানান অপকর্ম করে আসছিল। রবিবার জেলার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের আনিসুল হক নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শহরে নিয়ে আসে চক্রটি। তারপর তাকে অপহরণ করে টাকা দাবি করে।
তিনি আরও জানান, চক্রের সদস্যরা ব্যবসায়ীসহ টার্গেট করা ব্যক্তিদের অপহরণের পর নারীদের মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ধারণ করে থাকে। তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন। এমন ঘটনার খবর পাওয়ার পর গোপন সংবাদেরভিত্তিতে পুলিশ ওই বহুতল ভবন ঘিরে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে অপহরণকারী চক্রের দুই নারী সদস্যসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে অপহৃত ব্যবসায়ীকেও উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, “গ্রেপ্তারদের মধ্যে শাকিল ওরফে লায়ন শাকিল দুর্ধর্ষ অপহরণকারী। সে এর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি। এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।”