এ বছরের মার্চে দেশের মূল্যস্ফীতি দশমিক ১৪% বেড়ে ৯.৮১% দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। গত ফেব্রুয়ারিতে মূলস্ফীতির এই হার ছিল ৯.৬৭%।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সর্বশেষ আর্থিক পরিসংখ্যানে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।
বিবিএসের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মাসটিতে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৭%, আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬৪%। তুলনামূলকভাবে গত ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৪৪% এবং খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯.৩৩%।
গ্রামীণ অঞ্চলের তুলনায় শহরের অঞ্চলগুলোতে উচ্চতর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়েছে। শহর এলকায় মুদ্রাস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪% এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ৯.৬৮%। মার্চে শহর এলাকায় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯.৯৮%, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯.৭১% এবং গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যপন্যে মূল্যস্ফীতি ৯.৮৬% ও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯.৪১%।
আইএমএফের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ১৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে দেশ। আর এর প্রভাব পড়ছে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর।
এটি নিয়ন্ত্রণে পলিসি সুদের হার বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কৌশল বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৫৫%। তবে ড. মনসুর উল্লেখ করেছেন, বিলম্ব এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই পদক্ষেপগুলো এখনও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব দেখাতে পারেনি।
ক্রমাগত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হারের পিছনে একটি অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা এবং নিয়মিত পণ্যের দাম বৃদ্ধিকে প্রাথমিকভাবে দায়ী হিসাবে চিহ্নিত করেছেন অর্থনীতিবিদরা।