টাঙ্গাইলে একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব, বাঁচল না কেউ

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
টাঙ্গাইলে একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব, বাঁচল না কেউ
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার এক প্রসূতি একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শিশুদের মধ্যে চারটি ছেলে ও দুটি মেয়ে ছিল। তবে অপরিপক্ব হওয়ায় নবজাতকগুলো জন্মের পর পর মারা যায়। প্রসূতি সুমনা আক্তার (২৪) বর্তমানে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদ-উল-ফিতরের দিন দুপুরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে পরপর ছয় সন্তান প্রসব করেন সুমনা আক্তার। তিনি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী।

সুমনার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার কালমেঘা কড়ইচালা গ্রামের ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের সুমনার বিয়ে হয়। পাঁচ মাস আগে এক গাইনি চিকিৎসক ওই দম্পতিকে জানান- সুমনার গর্ভে চারটি সন্তান বড় হচ্ছে। এরপর থেকে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন সুমনা। ১৫ দিন আগে সুমনার স্বামী সিঙ্গাপুর চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে সুমনা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর স্বজনরা সুমনাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি ছয়টি সন্তান প্রসব করেন।

প্রবাসী ফরহাদের মামা নজরুল ইসলাম বলেন, “পেটে ব্যথা অনুভব করলে সুমনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এরপর তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুমনা ছয় সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরপরই শিশুগুলো মারা যায়। সুমনার অবস্থা বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।”

গড়গোবিন্দপুর উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সুমনার মামা শ্বশুর শাহজাহান মিয়া বলেন, “একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্মের খবর পেয়ে পরিবারটি অনেক খুশি হয়েছিল। তবে একে একে সবগুলো সন্তানের মৃত্যু হয়। শিশুদের মৃত্যুতে পরিবারটি ভেঙে পড়েছে। এ দম্পতির আগে কোনো সন্তানাদি নেই।”

মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, “ওই নারী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। হাসপাতালে আনার পর তিনি ছয়টি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব নবজাতকের মৃত্যু হয়।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

টাঙ্গাইলে একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব, বাঁচল না কেউ

টাঙ্গাইলে একসঙ্গে ৬ সন্তান প্রসব, বাঁচল না কেউ
ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার এক প্রসূতি একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শিশুদের মধ্যে চারটি ছেলে ও দুটি মেয়ে ছিল। তবে অপরিপক্ব হওয়ায় নবজাতকগুলো জন্মের পর পর মারা যায়। প্রসূতি সুমনা আক্তার (২৪) বর্তমানে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদ-উল-ফিতরের দিন দুপুরে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে পরপর ছয় সন্তান প্রসব করেন সুমনা আক্তার। তিনি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা কড়ইচালা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী।

সুমনার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলার কালমেঘা কড়ইচালা গ্রামের ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার গড়গোবিন্দপুর গ্রামের সুমনার বিয়ে হয়। পাঁচ মাস আগে এক গাইনি চিকিৎসক ওই দম্পতিকে জানান- সুমনার গর্ভে চারটি সন্তান বড় হচ্ছে। এরপর থেকে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে ছিলেন সুমনা। ১৫ দিন আগে সুমনার স্বামী সিঙ্গাপুর চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে সুমনা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দ্রুত ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর স্বজনরা সুমনাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি ছয়টি সন্তান প্রসব করেন।

প্রবাসী ফরহাদের মামা নজরুল ইসলাম বলেন, “পেটে ব্যথা অনুভব করলে সুমনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এরপর তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুমনা ছয় সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরপরই শিশুগুলো মারা যায়। সুমনার অবস্থা বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।”

গড়গোবিন্দপুর উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সুমনার মামা শ্বশুর শাহজাহান মিয়া বলেন, “একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্মের খবর পেয়ে পরিবারটি অনেক খুশি হয়েছিল। তবে একে একে সবগুলো সন্তানের মৃত্যু হয়। শিশুদের মৃত্যুতে পরিবারটি ভেঙে পড়েছে। এ দম্পতির আগে কোনো সন্তানাদি নেই।”

মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, “ওই নারী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। হাসপাতালে আনার পর তিনি ছয়টি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব নবজাতকের মৃত্যু হয়।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত