ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চুক্তি অনুযায়ী চায়না কোম্পানির নিকট হস্তান্তরে স্থিতাবস্থা জারি করলেন আপিল বিভাগ। ফলে আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আর কয়দিন কাজ বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই।
এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবীরা বলেন, হাইকোর্টের আদেশের পর তা নিয়ে আপিলে আসে ইটালিয়ান থাই। আজকের আদেশের ফলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুনরায় কাজ শুরুর পথ খুললো। হাইকোর্টে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
গত শনিবার চীনা কোম্পানির আইনজীবী ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন, দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্প্ত্তি করবেন।
আদালতে ইতালিয়ান থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন,ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। থাই কোম্পানির আইনজীবী ইমতিয়াজ ফারুক বলেছেন, তারা কোম্পানির সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবেন আপিলের বিষয়ে।
এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।