অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়

অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়
অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়

কেউ অতিরিক্ত ওজন হতে চায় না। অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাতে অনেক টাকা খরচ করেন কিন্তু নিজেকে ফিট রাখতে পারেন না। একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য অনেকেরই ওজন কমাতে হয়। কিছু চাকরিতে পদোন্নতির জন্য একজন শ্রমিকের ওজনও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। কখনও কখনও একজন রোগীর বিশেষ অস্ত্রোপচারের আগে জরুরীভাবে ওজন কমাতে হয়। নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখার মাধ্যমে আপনি সাধারণত এক মাসে চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে পারেন। কিন্তু জরুরি কারণে যদি কারো এক মাসে সাত কেজি বা তার বেশি ওজন কমাতে হয়, তাহলে ওজন কমানোর জন্য একজনকে পরিকল্পনা করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এক মাসে সাত কেজি বা তার বেশি ওজন কমাতে হলে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এই ধাপে শুধু খাদ্য নিয়ন্ত্রণ নয়, সারা জীবনকে অভ্যাসে নিয়ে আসতে হবে। তবেই আপনি কম সময়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন।

খাওয়ার আগে পানি পান করুন-

খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে পানি পান করুন। এটি আপনার হজমে সাহায্য করবে। যতটা সম্ভব বাড়িতে রান্না করা খাবার খান। জাঙ্ক ফুড পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন-

আপনার প্রয়োজনীয় পরিমাণে খাবার খান। শরীরের চাহিদার চেয়ে বেশি খাবার খেলে ওজন বাড়বে। তাই মাসে সাত কেজি বা তার বেশি ওজন কমাতে চাইলে অতিরিক্ত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলুন।

পানি-

প্রতি ঘন্টায় প্রচুর পানি পান করুন। পানি আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পানি আমাদের ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পানি রাখুন এবং নিয়মিত পান করুন।

চিনি এড়িয়ে চলুন-

পছন্দসই ওজন কমানোর জন্য খাদ্য থেকে চিনি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, মাত্র ১ চা চামচ চিনিতে ১৬ শতাংশ ক্যালরি থাকে, যা আপনার ওজন কমাতে সম্পূর্ণভাবে বাধা দেয়। তাই চা ও দুধে চিনি এড়িয়ে চলুন।

সবুজ চা

গ্রিন টি-তে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ওজন কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন চার কাপ গ্রিন টি খেলে শরীর থেকে ৪০০ গ্রাম ক্যালোরি কমাতে পারে। এটি আমাদের শরীরের ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ চা অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রঙিন সালাদ

খাবারে বিভিন্ন রঙের সবজি বা ফল দিয়ে তৈরি সালাদ রাখুন। এই সালাদের সাথে টক দই মেশাতে পারেন। এতে আপনি উপকৃত হবেন।

এছাড়াও সকালে, দুপুরে, রাতে উক্ত খাবার গুলো খাবেন

সকাল: দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটি আটার রুটি, এক বাটি সেদ্ধ সবজি, এক বাটি কাঁচা শসা। ওজন কমাতে শসা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

দুপুরের খাবার: ৫০-৭০ গ্রাম ভাত। ১ বাটি মাছ বা মুরগির ঝোল। এক বাটি সবজি ও শাক, শসার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই।

বিকাল: দুধ ছাড়া চা বা কফি, পাউরুটি বা বিস্কুট ২ টা।

রাত: তিনটি আটার রুটি, এক বাটি সবুজ তরকারি, এক বাটি ডালম টকদই, এক বাটি সালাদ দই এবং বাটার মিল্ক। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। ওজন বৃদ্ধির কারণে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। তাই ওজন কমাতে আপনাকে সঠিক ডায়েট প্ল্যান অবলম্বন করতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়

অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়
অতিরিক্ত ওজন কমানোর উপায়

কেউ অতিরিক্ত ওজন হতে চায় না। অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাতে অনেক টাকা খরচ করেন কিন্তু নিজেকে ফিট রাখতে পারেন না। একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য অনেকেরই ওজন কমাতে হয়। কিছু চাকরিতে পদোন্নতির জন্য একজন শ্রমিকের ওজনও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। কখনও কখনও একজন রোগীর বিশেষ অস্ত্রোপচারের আগে জরুরীভাবে ওজন কমাতে হয়। নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখার মাধ্যমে আপনি সাধারণত এক মাসে চার থেকে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে পারেন। কিন্তু জরুরি কারণে যদি কারো এক মাসে সাত কেজি বা তার বেশি ওজন কমাতে হয়, তাহলে ওজন কমানোর জন্য একজনকে পরিকল্পনা করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এক মাসে সাত কেজি বা তার বেশি ওজন কমাতে হলে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এই ধাপে শুধু খাদ্য নিয়ন্ত্রণ নয়, সারা জীবনকে অভ্যাসে নিয়ে আসতে হবে। তবেই আপনি কম সময়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাবেন।

খাওয়ার আগে পানি পান করুন-

খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে পানি পান করুন। এটি আপনার হজমে সাহায্য করবে। যতটা সম্ভব বাড়িতে রান্না করা খাবার খান। জাঙ্ক ফুড পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন-

আপনার প্রয়োজনীয় পরিমাণে খাবার খান। শরীরের চাহিদার চেয়ে বেশি খাবার খেলে ওজন বাড়বে। তাই মাসে সাত কেজি বা তার বেশি ওজন কমাতে চাইলে অতিরিক্ত খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলুন।

পানি-

প্রতি ঘন্টায় প্রচুর পানি পান করুন। পানি আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পানি আমাদের ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পানি রাখুন এবং নিয়মিত পান করুন।

চিনি এড়িয়ে চলুন-

পছন্দসই ওজন কমানোর জন্য খাদ্য থেকে চিনি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, মাত্র ১ চা চামচ চিনিতে ১৬ শতাংশ ক্যালরি থাকে, যা আপনার ওজন কমাতে সম্পূর্ণভাবে বাধা দেয়। তাই চা ও দুধে চিনি এড়িয়ে চলুন।

সবুজ চা

গ্রিন টি-তে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা আমাদের ওজন কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন চার কাপ গ্রিন টি খেলে শরীর থেকে ৪০০ গ্রাম ক্যালোরি কমাতে পারে। এটি আমাদের শরীরের ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ চা অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রঙিন সালাদ

খাবারে বিভিন্ন রঙের সবজি বা ফল দিয়ে তৈরি সালাদ রাখুন। এই সালাদের সাথে টক দই মেশাতে পারেন। এতে আপনি উপকৃত হবেন।

এছাড়াও সকালে, দুপুরে, রাতে উক্ত খাবার গুলো খাবেন

সকাল: দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটি আটার রুটি, এক বাটি সেদ্ধ সবজি, এক বাটি কাঁচা শসা। ওজন কমাতে শসা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

দুপুরের খাবার: ৫০-৭০ গ্রাম ভাত। ১ বাটি মাছ বা মুরগির ঝোল। এক বাটি সবজি ও শাক, শসার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই।

বিকাল: দুধ ছাড়া চা বা কফি, পাউরুটি বা বিস্কুট ২ টা।

রাত: তিনটি আটার রুটি, এক বাটি সবুজ তরকারি, এক বাটি ডালম টকদই, এক বাটি সালাদ দই এবং বাটার মিল্ক। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। ওজন বৃদ্ধির কারণে শরীরে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। তাই ওজন কমাতে আপনাকে সঠিক ডায়েট প্ল্যান অবলম্বন করতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত