নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামাল কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৬ জন কে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে চট্টগ্রামের বায়েজীদ এলাকা থেকে এজাহাভুক্ত আসামি মঙ্গলহাটা গ্রামের মঞ্জুর মল্লিকের ছেলে সাজেদুল মল্লিক (২৫), হবিবর শেখের ছেলে পাভেল শেখ (২৮),মান্নান মোল্যার ছেলে মামুন মোল্যা (২৬) এবং লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউপির দোয়া মল্লিকপুর গ্রামের গাউছ শেখের ছেলে রহমত উল্লাহ শেখ (১৯)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এঘটনায় র্যাব শুক্রবার (১৭মে) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজেদুল মল্লিক জানিযেছেন,এই হত্যাকান্ডে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। ওই সময় তার হাতে থাকা চার রাউন্ড এমুনিশন ভর্তি গুলি দিয়ে তিন রাউন্ড গুলি করলে চেয়ারম্যানের বুকে ও পাজরে লাগে। পরবর্তী সময়ে এই অস্ত্রটি তিনি নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতি নদীতে ফেলে দেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। অন্যদের হাতেও অস্ত্র ছিল।
গত সোমবার লোহাগড়া থানা পুলিশ মঙ্গলহাটা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আকবর হোসেন লিপনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম কে এবং ভ্যান চালক ইদ্রিস শেখকে আটক করে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দিতে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং তাদের দেওয়া তথ্যমতে অন্য আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায়।
উল্লেখ্য, সাবেক চেয়ারম্যান শিকদার মোস্তফা কামাল কে গুলিতে করে হত্যা করার পর গ্রামের প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য আকবার হোসেন লিপন কে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নামে নিহতের ভাই রেজাউল শিকদার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মোস্তফা কামাল উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের আকরাম শিকদারের ছেলে এবং স্থানীয় মল্লিকপুর ইউনিয়নের দুই মেয়াদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরন করা হবে এবং অন্য আসামিদের দ্রুত আটকের চেষ্টা চলছে।