এয়ারবাস কেনার চুক্তি আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
এয়ারবাস কেনার চুক্তি আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপীয় এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাসের দুটি এ-৩৫০-৯০০ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জন্য আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়। কারণ, মূলধনী বিনিয়োগের তুলনায় আগামী ২৫ বছরে এর নেট নগদ প্রবাহ নেতিবাচক।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুটি বিমানের জন্য মোট বিনিয়োগ ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা বর্তমান বিনিময় হারে ১২ হাজার কোটি টাকার সমান।

জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থার টেকনো-ফাইন্যান্সিয়াল মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে দুটি বিমানের জন্য মোট ৯০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে, যা এয়ারবাসের ১ জানুয়ারি ২০২৩ ভিত্তিক ৭৬৩ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এ অবস্থায় দুটি এয়ারবাস (এ-৩৫০) প্লেন কিনলে বড় ধরনের লোকসান হবে।

এ ছাড়াও, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় বিমান বাংলাদেশের ১০ মিলিয়ন ডলার অফেরতযোগ্য প্রতিশ্রুতি ফি পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরঞ্জামের কারণে যেমন খুচরা ইঞ্জিন, যন্ত্রাংশ, সরঞ্জাম, সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ক্রু প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে ১২৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সুতরাং, দুটি বিমানের জন্য মোট বিনিয়োগ ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা বর্তমান বিনিময় হারে ১২ হাজার কোটি টাকার সমান।

মূল্যায়ন কমিটির মতে, এই বিশাল মূলধনী বিনিয়োগের ফলে বিমানের অপারেটিং পরিকল্পনার ভিত্তিতে আগামী ২৫ বছরে নেতিবাচক নগদ প্রবাহ সৃষ্টি হবে, যার কারণ কম রাজস্ব উৎপাদন ও নিম্ন ফলন।

যেহেতু প্রকল্পটি আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়, বিমানের এয়ারবাস থেকে দুটি নতুন যাত্রীবাহী বিমান কেনার কথা বিবেচনা নাও করতে পারে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ শতাংশের কম সুদ হারে বিকল্প অর্থায়ন এবং রুট, ফ্রিকোয়েন্সি ও বহরের আকার পরিবর্তন প্রকল্পটিকে বাস্তবসম্মত করতে পারে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এয়ারবাস কেনার চুক্তি আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়

এয়ারবাস কেনার চুক্তি আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়
ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপীয় এভিয়েশন জায়ান্ট এয়ারবাসের দুটি এ-৩৫০-৯০০ যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জন্য আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়। কারণ, মূলধনী বিনিয়োগের তুলনায় আগামী ২৫ বছরে এর নেট নগদ প্রবাহ নেতিবাচক।

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুটি বিমানের জন্য মোট বিনিয়োগ ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা বর্তমান বিনিময় হারে ১২ হাজার কোটি টাকার সমান।

জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থার টেকনো-ফাইন্যান্সিয়াল মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক প্রস্তুত করা প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে দুটি বিমানের জন্য মোট ৯০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে, যা এয়ারবাসের ১ জানুয়ারি ২০২৩ ভিত্তিক ৭৬৩ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এ অবস্থায় দুটি এয়ারবাস (এ-৩৫০) প্লেন কিনলে বড় ধরনের লোকসান হবে।

এ ছাড়াও, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সময় বিমান বাংলাদেশের ১০ মিলিয়ন ডলার অফেরতযোগ্য প্রতিশ্রুতি ফি পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরঞ্জামের কারণে যেমন খুচরা ইঞ্জিন, যন্ত্রাংশ, সরঞ্জাম, সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ক্রু প্রশিক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে ১২৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সুতরাং, দুটি বিমানের জন্য মোট বিনিয়োগ ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে, যা বর্তমান বিনিময় হারে ১২ হাজার কোটি টাকার সমান।

মূল্যায়ন কমিটির মতে, এই বিশাল মূলধনী বিনিয়োগের ফলে বিমানের অপারেটিং পরিকল্পনার ভিত্তিতে আগামী ২৫ বছরে নেতিবাচক নগদ প্রবাহ সৃষ্টি হবে, যার কারণ কম রাজস্ব উৎপাদন ও নিম্ন ফলন।

যেহেতু প্রকল্পটি আর্থিকভাবে বাস্তবসম্মত নয়, বিমানের এয়ারবাস থেকে দুটি নতুন যাত্রীবাহী বিমান কেনার কথা বিবেচনা নাও করতে পারে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ শতাংশের কম সুদ হারে বিকল্প অর্থায়ন এবং রুট, ফ্রিকোয়েন্সি ও বহরের আকার পরিবর্তন প্রকল্পটিকে বাস্তবসম্মত করতে পারে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত