ঋণনির্ভর উন্নয়ন কথাটি বলা ঠিক না: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ঋণনির্ভর উন্নয়ন কথাটি বলা ঠিক না: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ওয়াসিকা আয়শা খান। ছবি: সংগৃহীত

ঋণনির্ভর উন্নয়ন কথাটি বলা ঠিক না— বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। আমরা ঋণনির্ভর উন্নয়নের দিকে যাচ্ছি কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঋণনির্ভর উন্নয়নের দিকে যাচ্ছি না। আমাদের ডেট-জিডিপি রেশিও অনেক কম। বিভিন্ন দেশের তুলনায় আমাদের অনেক কম। আমাদের ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা অনেক আছে। আমাদের পেমেন্ট রেকর্ডও ভালো। বাংলাদেশ কখনও কোনও পেমেন্টে ডিফল্ট করেনি। আমি আশা করবো, ঋণনির্ভর উন্নয়ন কথাটি বলা ঠিক না।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে অর্থনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কী হতে পারে, এবারের বাজেট উপস্থাপনের সময় এ সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণ থাকবে বলেও জানান তিনি।

ওয়াসিকা আয়শা খান জানিয়েছেন, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি যেমন গুরুত্ব পাচ্ছে, তেমনই সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের সম্প্রসারণ হচ্ছে। নিম্ন ও স্বল্পআয়ের মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত থাকবে। ফ্যামিলি কার্ড থেকে শুরু করে খাদ্য সহায়তা চলমান আছে। এগুলো যেন ঠিকভাবে করা হয়, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। বাজেট ঘাটতি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মুদ্রানীতি সফলভাবে বাস্তবায়নে সপোর্টিভ ফিসক্যাল স্ট্যান্ড গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসার একটা বিষয় আছে। খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য অভিঘাত কী হতে পারে, তা আগের বাজেটগুলোতে ছিল না। এবার বাজেট উপস্থাপনের সময় সে সম্পর্কিত একটি বিশ্লেষণ দেওয়া হবে। প্রতিবছর যেভাবে জেন্ডার বাজেটের একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়, ৪৪টি মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ট্যাক্স সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি এনবিআর-এর কাছে জানতে হবে। এবার ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের বিষয়টি তাদের এখতিয়ার।

করোনা মহামারি-পরবর্তী রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় থেকে মূল্যস্ফীতির শুরু উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি চলছে। অনেক দেশে ষাট শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি আছে। মানুষকে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত অভিঘাত থেকে কীভাবে বের করে নিয়ে আসবো, সেজন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ঋণনির্ভর উন্নয়ন কথাটি বলা ঠিক না: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

ঋণনির্ভর উন্নয়ন কথাটি বলা ঠিক না: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
ওয়াসিকা আয়শা খান। ছবি: সংগৃহীত

ঋণনির্ভর উন্নয়ন কথাটি বলা ঠিক না— বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। আমরা ঋণনির্ভর উন্নয়নের দিকে যাচ্ছি কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ঋণনির্ভর উন্নয়নের দিকে যাচ্ছি না। আমাদের ডেট-জিডিপি রেশিও অনেক কম। বিভিন্ন দেশের তুলনায় আমাদের অনেক কম। আমাদের ঋণ নেওয়ার সক্ষমতা অনেক আছে। আমাদের পেমেন্ট রেকর্ডও ভালো। বাংলাদেশ কখনও কোনও পেমেন্টে ডিফল্ট করেনি। আমি আশা করবো, ঋণনির্ভর উন্নয়ন কথাটি বলা ঠিক না।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে অর্থনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত কী হতে পারে, এবারের বাজেট উপস্থাপনের সময় এ সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণ থাকবে বলেও জানান তিনি।

ওয়াসিকা আয়শা খান জানিয়েছেন, এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি যেমন গুরুত্ব পাচ্ছে, তেমনই সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের সম্প্রসারণ হচ্ছে। নিম্ন ও স্বল্পআয়ের মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ অব্যাহত থাকবে। ফ্যামিলি কার্ড থেকে শুরু করে খাদ্য সহায়তা চলমান আছে। এগুলো যেন ঠিকভাবে করা হয়, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। বাজেট ঘাটতি সহনীয় পর্যায়ে রেখে সামগ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মুদ্রানীতি সফলভাবে বাস্তবায়নে সপোর্টিভ ফিসক্যাল স্ট্যান্ড গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্য ও সারের মূল্য কমে আসার একটা বিষয় আছে। খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য অভিঘাত কী হতে পারে, তা আগের বাজেটগুলোতে ছিল না। এবার বাজেট উপস্থাপনের সময় সে সম্পর্কিত একটি বিশ্লেষণ দেওয়া হবে। প্রতিবছর যেভাবে জেন্ডার বাজেটের একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়, ৪৪টি মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ট্যাক্স সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি এনবিআর-এর কাছে জানতে হবে। এবার ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণের বিষয়টি তাদের এখতিয়ার।

করোনা মহামারি-পরবর্তী রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় থেকে মূল্যস্ফীতির শুরু উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি চলছে। অনেক দেশে ষাট শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতি আছে। মানুষকে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত অভিঘাত থেকে কীভাবে বের করে নিয়ে আসবো, সেজন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম প্রস্তাবিত বাজেটে বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত