হুট করে চাপে পড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় ট্রফি জয়ের স্বপ্ন যেন ভেঙে যেতে বসেছে। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত দলটি সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে হেরে গেছে নখদন্তহীন পারফরম্যান্স করে। খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সুপার এইটে ওঠা ইংল্যান্ড ফর্মে ফিরে সর্বনাশ করেছে তাদের। উইন্ডিজ সুপার এইটের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের, যারা হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। এবারের আসরের যৌথ আয়োজকদের জন্য এটি বাঁচা মরার লড়াই।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় ব্রিজটাউনে মাঠে গড়াবে ম্যাচটি। কানাডাকে রেকর্ড রানে হারিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ওভারে জিতে চমক দেখানো যুক্তরাষ্ট্র গ্রুপ ও সুপার এইট মিলে শেষ দুটি ম্যাচে হারলেও নিজেদের জাত চিনিয়েছে। ভারতের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে গ্রুপে হেরে যায় তারা। আর সেরা আটের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়ে হার মেনেছে মাত্র ১৮ রানে।
প্রোটিয়াদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে এবার উইন্ডিজকে সামনে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দৃঢ় মানসিকতার সামনে ক্যারিবিয়ানরা চাপ সামলে উঠতে পারে কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা।
এই ম্যাচে ব্র্যান্ডন কিংকে পাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সম্ভবত তার স্থলাভিষিক্ত হবেন শিমরন হেটমায়ার। কাঁধের ইনজুরিতে পাকিস্তান ম্যাচের পর মাঠের বাইরে থাকা অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলকে পাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রও। আগের ম্যাচে প্রথম পাঁচ বলে ২৮ রান দেওয়া জাশদীপ সিংকে বিশ্রামে রেখে তারা সুযোগ দিতে পারে শ্যাডলি ফন শ্যালকউইককে।
আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে এতদূর আসা যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবে কঠিন পরীক্ষা নেবে দুইবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। এই পরীক্ষায় পাস করতে ইংল্যান্ড ম্যাচের হতাশা ভুলে কঠোর হাতে দাঁড়াতে হবে নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, রোভম্যান পাওয়েলদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন স্যামি নিশ্চিত করেছেন, ইংল্যান্ডের কাছে হার তাদের মনোবলে আঘাত লাগেনি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন এখনও তারা দেখছে। সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘একটি টুর্নামেন্টে এমন ম্যাচ থাকে যেখানে প্রতিপক্ষ আপনার চেয়ে ভালো খেলে। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আপনি ছিটকে গেছেন। এখন আমাদের চার ম্যাচের (ফাইনালসহ) সবগুলো জিততে হবে, সেদিকেই আমাদের মনোযোগ।’