প্রথম ২ ওভারে ৬ রান দিয়ে অস্ট্রেলিয়া এক উইকেট তুলে নেয়। বিরাট কোহলি ৫ বলে ডাক মারেন। সেন্ট লুসিয়ায় টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। তারপর দুঃস্বপ্ন! রোহিত শর্মা চড়াও হন, ব্যাট হাতে অজি বোলারদের কচুকাটা করেছেন ভারতের অধিনায়ক।
মিচেল স্টার্ক তার দ্বিতীয় ওভারে ২৯ রান দেন, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এক ওভারে সর্বোচ্চ খরচ। বৃষ্টির হালকা বিরতির পর রোহিত আরও ভয়ঙ্কর। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ফিফটি করে ফেলেন তিনি। মাত্র ১৯ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছয়ে পঞ্চাশ ছোঁন রোহিত। ভারতের হয়ে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ফিফটির কীর্তি গড়েন। পাওয়ার প্লে শেষে রান ১ উইকেটে ৬০। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে দুইশ ছয়ের মালিক হন রোহিত।
নবম ওভারেই ভারত একশ রান করে ফেলে, ৫২ বলে। ততক্ষণে রিশাভ পান্ত ১৪ বলে ১৫ রানে বিদায় নিয়েছেন। রোহিত থেমেছেন ১২তম ওভারে। স্টার্কের ইয়র্কারে ব্যাটে লেগে স্টাম্পে আঘাত করে বল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে আউট হন রোহিত। সাত রানের জন্য অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান করতে পারেননি। ক্রিস গেইলের (৯৮) পেছনেই থাকতে হয় তাকে। ৪১ বলে ৭ চার ও ৮ ছয়ে ৯২ রান করেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়ের মালিক হন যুবরাজ সিংকে পেছনে ফেলে।
রোহিত বিদায় নেওয়ার পর সূর্যকুমার যাদব (৩১), শিবম দুবে (২৮) ও হার্দিক পান্ডিয়ার (২৭) অপরাজিত ইনিংসে ভারত দুইশ পার করে। ৫ উইকেটে ২০৫ রান জমা হয় তাদের স্কোরবোর্ডে।
নেট রান রেটে ভারতকে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে খেলতে হলে ১৫.৩ ওভারে ২০৬ রান করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। নয়তো ভারত নিশ্চিত করবে শেষ চারের খেলা।