দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটি দেশের ভেতর দিয়ে আরেকটি দেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে কোনো সীমানাই নেই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখব। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে; দেশের মানুষই লাভবান হবে।’

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। নিজের সাম্প্রতিক ভারত সফর সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই আসলে ভারতের কাছে বিক্রি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ওপরে ভারত বিরোধিতা করলেও ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, কারণ আমরাই এ দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে, তারাই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দালালি করেছে।’

একটা দেশের মধ্যে অন্য দেশের ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী বলে প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রেল যেগুলো বন্ধ ছিল (ভারতের সঙ্গে) সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দিচ্ছি। অর্থনীতিতে এটা বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে । আমরা বাংলাদেশে কী চারদিকে দরজা বন্ধ করে থাকব? ইউরোপের দিকে তাকান সেখানে কোনো বর্ডার নেই। সেখানে কী এক দেশ আরেক দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ। সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দিলাম, এর উপকার পাবে সাধারণ মানুষ। ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, একই মাসে সরকারপ্রধান হিসেবে দুবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। সবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।

তিনি আরো বলেন, ‘২২ জুন রাষ্ট্রপতি ভবনে আমাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানান। সেখানে তার উপস্থিতিতে আমাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপর আমি রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত ও অগ্রসর হচ্ছে।’ বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আরো গভীরভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বৈঠকে আমরা রাজনীতি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

দেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটি দেশের ভেতর দিয়ে আরেকটি দেশকে ট্রানজিট সুবিধা দিলে ক্ষতি কী? ইউরোপে কোনো সীমানাই নেই। তারা কি একে অন্যের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে? তাহলে দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখব। মানুষ কি দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখবে? এ কানেক্টিভিটির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে; দেশের মানুষই লাভবান হবে।’

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। নিজের সাম্প্রতিক ভারত সফর সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার পথ এবং কার্যপন্থা নিয়ে আলোচনা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই আসলে ভারতের কাছে বিক্রি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ওপরে ভারত বিরোধিতা করলেও ভারতে গিয়ে পা ধরে বসে ছিল। শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না, কারণ আমরাই এ দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে, তারাই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দালালি করেছে।’

একটা দেশের মধ্যে অন্য দেশের ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী বলে প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রেল যেগুলো বন্ধ ছিল (ভারতের সঙ্গে) সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দিচ্ছি। অর্থনীতিতে এটা বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে । আমরা বাংলাদেশে কী চারদিকে দরজা বন্ধ করে থাকব? ইউরোপের দিকে তাকান সেখানে কোনো বর্ডার নেই। সেখানে কী এক দেশ আরেক দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ। সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দিলাম, এর উপকার পাবে সাধারণ মানুষ। ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, একই মাসে সরকারপ্রধান হিসেবে দুবার দিল্লি সফর আমার জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। সবই আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।

তিনি আরো বলেন, ‘২২ জুন রাষ্ট্রপতি ভবনে আমাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা জানান। সেখানে তার উপস্থিতিতে আমাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এরপর আমি রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ক্রমাগত বিকশিত ও অগ্রসর হচ্ছে।’ বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আরো গভীরভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বৈঠকে আমরা রাজনীতি ও নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ ও সুরক্ষিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে হতাহতের ঘটনা শূন্যে নামিয়ে আনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করি। আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত