ন্যাটোর সম্মেলনে জোরালো বক্তব্য বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ন্যাটোর সম্মেলনে জোরালো বক্তব্য বাইডেনের
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে পশ্চিমা সামরিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেলে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ন্যাটোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জোরালো বক্তব্য দিয়ে মিত্র দেশগুলোর নেতাদের স্বাগত জানিয়েছেন।

বাইডেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবেন, এ বিষয়ে বিদেশি মিত্র ও দেশে তার সমর্থকদের আশ্বাস্ত করার চেষ্টা করতে এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সম্মেলনের উদ্বোধনী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাইডেন দৃঢ় মনোভাব প্রকাশ করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সঙ্কটময় এই সময়ে ন্যাটো সামরিক জোট ‘আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’ বলে দাবি করেছেন তিনি।

‘স্বৈরশাসকরা’ বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে উল্টে দিতে পারে বলে সতর্ক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তায় ঘোষণা দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়ার নেতারা ইউক্রেনের বিপর্যন্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি ও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দান করছে বলে জানান তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং রোমানিয়া ইউক্রেনকে অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি দেবে। নেদারল্যান্ডস ও অন্য দেশগেুলো প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের আরও একটি ব্যাটারি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদান ইউক্রেনকে সরবরাহ করবে। ইতালি একটি এসএএমপি-টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেবে ইউক্রেনকে।

কানাডা, নরওয়ে, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য মিত্রদেশগুলো বেশ কয়েকটি সিস্টেম সরবরাহ করবে, যা ইউক্রেনকে তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাভারেজ বাড়াতে সাহায্য করবে। এই সিস্টেমগুলোর মধ্যে এনএএসএএমএস, এইচএডাব্লিউকে, আরআরআইএস- টি-এসএলএম, আইআরআইএস টি-এসএলএস এবং লেপার্ড অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া অন্যান্য দেশগুলো এসব সিস্টেমের জন্য ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র দিতে সম্মত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে টেলিপ্রম্পটার থেকে পড়ে করা মন্তব্যে বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেন একটি মুক্ত ও স্বাধীন দেশ থাকা অবস্থায়ই যুদ্ধ শেষ হবে। রাশিয়া জয়ী হবে না, হবে ইউক্রেন।’

রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার দুইদিন পরেই এই ঘোষণা এলো। গত সোমবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৪৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ন্যাটো সম্মেলনে প্রায় ১৩ মিনিট ধরে দেওয়া বক্তব্যে পরিষ্কার কণ্ঠে কথা বলেন বাইডেন। এই সম্মেলন বাইডেনের রাজনৈতিক জীবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গত মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী বিতর্কের সময় মিনমিনে স্বরে কথা বলার পর থেকে বাইডেন বেশ চাপের মুখে ছিলেন। নিজের দলের সমর্থকদের বিশ্বাস ফেরাতে এই সম্মেলনে বাইডেনের প্রমাণ করা জরুরি ছিল যে, তিনি এখনো নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

বাইডেন ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর প্রশংসা করে বলেন, ন্যাটো আগের চেয়ে এখন আরও শক্তিশালী। তিনি উল্লেখ করেন, ন্যাটোর ৩২ সদস্য দেশের মধ্যে ২৩টি দেশ নিজেদের মোট দেশজ উৎপাদনের ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে পারছে। এভাবে তিনি ট্রাম্পের সমালোচনারও জবাব দেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, ন্যাটোর যেসব সদস্য দেশ তাদের প্রতিরক্ষা খাতে যথাযথ ব্যয় করতে পারে না, সেসব দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে না।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বাইডেন ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্তোলতেনবার্গকে মঞ্চে ডেকে নেন আর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পুরস্কার দেন।

ন্যাটোর এবারের সম্মেলনের ভেন্যুতেই কয়েক দশক আগে এ সামরিক জোট গঠনের চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, নিজের বক্তব্যে বাইডেন তা উল্লেখ করেন।

এদিকে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রতিনিধি পরিষদের আইনপ্রণেতারা ও সিনেট সদস্যরা মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে পৃথক বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রার্থী হওয়া নিয়ে মতবিরোধ বিদ্যমান ছিল।

বৈঠকের পর বাইডেনকে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানান নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি মাইকি শেরিল; এর মধ্যে দিয়ে এমন আহ্বান জানানো সপ্তম ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি হলেন তিনি।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বিদেশি কূটনীতিকরাও বাইডেনের ভবিষ্যতের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রদূত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ওই বিতর্কের পর তিনি কীভাবে ফিরে আসবেন তা বুঝতে পারছি না আমরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর নেতৃত্বে তিনি আরও চার বছর থাকবেন এমনটা কল্পনা করতে পারছি না আমি।’

এসবের উত্তরে বাইডেনের টিম দেখানোর চেষ্টা করছে ৮১ বছর বয়সী এই নেতা এখনও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের মতো যথেষ্ট সবল আছেন।

দুই বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ন্যাটোর যে সম্প্রসারণ হয়েছে তার জন্য বাইডেনের নেতৃত্বকে কৃতিত্ব দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। এই সময়ে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটো জোটের নতুন সদস্য হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় নিজের গলফ ক্লাবে এক নির্বাচনী সমাবেশে ফের ন্যাটোর সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (৭৮)।

ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকেই তাদের সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে ন্যাটোর অনেক দেশ এখন সেই মানদণ্ড পূরণ করেছে।

ট্রাম্প তার সমর্থকদের বলেছেন, এই দেশগুলো এখন ‘শত বিলিয়ন ডলার’ বেশি অবদান রাখছে। এর কারণ হলো, তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন সতর্ক করেছিলেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ন্যাটোর সম্মেলনে জোরালো বক্তব্য বাইডেনের

ন্যাটোর সম্মেলনে জোরালো বক্তব্য বাইডেনের
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে পশ্চিমা সামরিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর ৭৫তম শীর্ষ সম্মেলন। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেলে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ন্যাটোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জোরালো বক্তব্য দিয়ে মিত্র দেশগুলোর নেতাদের স্বাগত জানিয়েছেন।

বাইডেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবেন, এ বিষয়ে বিদেশি মিত্র ও দেশে তার সমর্থকদের আশ্বাস্ত করার চেষ্টা করতে এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সম্মেলনের উদ্বোধনী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাইডেন দৃঢ় মনোভাব প্রকাশ করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সঙ্কটময় এই সময়ে ন্যাটো সামরিক জোট ‘আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’ বলে দাবি করেছেন তিনি।

‘স্বৈরশাসকরা’ বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে উল্টে দিতে পারে বলে সতর্ক করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তায় ঘোষণা দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়ার নেতারা ইউক্রেনের বিপর্যন্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি ও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দান করছে বলে জানান তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবৃতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং রোমানিয়া ইউক্রেনকে অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি দেবে। নেদারল্যান্ডস ও অন্য দেশগেুলো প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের আরও একটি ব্যাটারি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদান ইউক্রেনকে সরবরাহ করবে। ইতালি একটি এসএএমপি-টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেবে ইউক্রেনকে।

কানাডা, নরওয়ে, স্পেন এবং যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য মিত্রদেশগুলো বেশ কয়েকটি সিস্টেম সরবরাহ করবে, যা ইউক্রেনকে তার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাভারেজ বাড়াতে সাহায্য করবে। এই সিস্টেমগুলোর মধ্যে এনএএসএএমএস, এইচএডাব্লিউকে, আরআরআইএস- টি-এসএলএম, আইআরআইএস টি-এসএলএস এবং লেপার্ড অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া অন্যান্য দেশগুলো এসব সিস্টেমের জন্য ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র দিতে সম্মত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে টেলিপ্রম্পটার থেকে পড়ে করা মন্তব্যে বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেন একটি মুক্ত ও স্বাধীন দেশ থাকা অবস্থায়ই যুদ্ধ শেষ হবে। রাশিয়া জয়ী হবে না, হবে ইউক্রেন।’

রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার দুইদিন পরেই এই ঘোষণা এলো। গত সোমবার ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৪৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ন্যাটো সম্মেলনে প্রায় ১৩ মিনিট ধরে দেওয়া বক্তব্যে পরিষ্কার কণ্ঠে কথা বলেন বাইডেন। এই সম্মেলন বাইডেনের রাজনৈতিক জীবনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গত মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী বিতর্কের সময় মিনমিনে স্বরে কথা বলার পর থেকে বাইডেন বেশ চাপের মুখে ছিলেন। নিজের দলের সমর্থকদের বিশ্বাস ফেরাতে এই সম্মেলনে বাইডেনের প্রমাণ করা জরুরি ছিল যে, তিনি এখনো নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

বাইডেন ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর প্রশংসা করে বলেন, ন্যাটো আগের চেয়ে এখন আরও শক্তিশালী। তিনি উল্লেখ করেন, ন্যাটোর ৩২ সদস্য দেশের মধ্যে ২৩টি দেশ নিজেদের মোট দেশজ উৎপাদনের ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে পারছে। এভাবে তিনি ট্রাম্পের সমালোচনারও জবাব দেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, ন্যাটোর যেসব সদস্য দেশ তাদের প্রতিরক্ষা খাতে যথাযথ ব্যয় করতে পারে না, সেসব দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আসবে না।

বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বাইডেন ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্তোলতেনবার্গকে মঞ্চে ডেকে নেন আর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পুরস্কার দেন।

ন্যাটোর এবারের সম্মেলনের ভেন্যুতেই কয়েক দশক আগে এ সামরিক জোট গঠনের চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, নিজের বক্তব্যে বাইডেন তা উল্লেখ করেন।

এদিকে ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রতিনিধি পরিষদের আইনপ্রণেতারা ও সিনেট সদস্যরা মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে পৃথক বৈঠক করেছেন। এ বৈঠকে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাইডেনের প্রার্থী হওয়া নিয়ে মতবিরোধ বিদ্যমান ছিল।

বৈঠকের পর বাইডেনকে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানান নিউ জার্সির ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি মাইকি শেরিল; এর মধ্যে দিয়ে এমন আহ্বান জানানো সপ্তম ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি হলেন তিনি।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বিদেশি কূটনীতিকরাও বাইডেনের ভবিষ্যতের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউরোপিয়ান রাষ্ট্রদূত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ওই বিতর্কের পর তিনি কীভাবে ফিরে আসবেন তা বুঝতে পারছি না আমরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর নেতৃত্বে তিনি আরও চার বছর থাকবেন এমনটা কল্পনা করতে পারছি না আমি।’

এসবের উত্তরে বাইডেনের টিম দেখানোর চেষ্টা করছে ৮১ বছর বয়সী এই নেতা এখনও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের মতো যথেষ্ট সবল আছেন।

দুই বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ন্যাটোর যে সম্প্রসারণ হয়েছে তার জন্য বাইডেনের নেতৃত্বকে কৃতিত্ব দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। এই সময়ে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটো জোটের নতুন সদস্য হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফ্লোরিডায় নিজের গলফ ক্লাবে এক নির্বাচনী সমাবেশে ফের ন্যাটোর সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (৭৮)।

ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো প্রতিরক্ষা খাতে জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকেই তাদের সমালোচনা করে আসছেন ট্রাম্প। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে ন্যাটোর অনেক দেশ এখন সেই মানদণ্ড পূরণ করেছে।

ট্রাম্প তার সমর্থকদের বলেছেন, এই দেশগুলো এখন ‘শত বিলিয়ন ডলার’ বেশি অবদান রাখছে। এর কারণ হলো, তিনি যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন সতর্ক করেছিলেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত