কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত শান্তর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বাদ জোহর বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের মানিককাঠি গ্রামের মানিককাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন শান্ত।
এর আগে, বেলা ১২টার দিকে শান্তর মরদেহ গ্রামে পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। শোক আর কান্নায় এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। নিহত শান্ত চট্টগ্রামের এমইসি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
শান্তর বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। সে প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল। তখন দুপক্ষের সংঘর্ষে ছোঁড়া গুলিতে নিহত হয় শান্ত। তার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছিল।’
প্রতিবেশী আলাউদ্দিন বলেন, ‘শান্ত খুবই শান্তশিষ্ট স্বভাবের ছিল। সে চট্টগ্রামে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত। মাঝেমধ্যে বরিশাল বেড়াতে আসত। স্কুলজীবনে তাকে কারও সঙ্গে ঝগড়া করতে দেখিনি।’