ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের কাছে একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও শতাধিক। শনিবার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, খাদিজা স্কুলের ভিতরে হামাসের একটি কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ছিল তাই এ হামলা তারা চালিয়েছে। সেখানে হামাসের অস্ত্র মজুত এবং বিভিন্ন হামলার পরিকল্পনা ও নির্দশনা দেওয়ার দাবিও করেছে আইডিএফ।
হামলার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতরা বেসামরিক নাগরিক এবং তাদের বেশিরভাগই শিশু। হামলার ভিডিও যাচাই করে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিও শিশুদের হতাহতের কথা জানিয়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস জানায়, স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত লোকজন আশ্রয় নিয়েছিল।
শনিবার সকাল থেকে দেইর আল-বালাহ এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলের পৃথক বোমা হামলায় মোট ৫৩ জন নিহত ও ১৮৯ জন আহত হয়েছে।
এর আগে, শনিবার সকালে উপকূলবর্তী অঞ্চল আল-মাওয়াসিতে একটি ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ মানবিক এলাকায়’ সরে যাওয়ার জন্য খান ইউনিসের দক্ষিণাঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এতে এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় ২৫০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
এই হামলা থেকে বাদ যায়নি হাসপাতাল, স্কুল কিংবা শরণার্থী শিবিরও। গত নয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় ৩৯ হাজার ২৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৯০ হাজার ৫৮৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।