ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ সারির নেতা-কর্মীরাও গা ঢাকা দিয়েছেন। সরকার পতনের পর অনেকটাই নিখোঁজ রয়েছেন সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা ফেরদৌস। আর এর মধ্যেই তার জন্য এলো আরেকটি দুঃসংবাদ।
টালিউডের অর্কদীপ মল্লিকা নাথের “মীর জাফর চ্যাপ্টার টু” সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল তার। তবে সেটি থেকে তাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সিনেমার প্রযোজক রানা সরকার জানান, এ সিনেমায় আর থাকছেন না ফেরদৌস।
রানা সরকার ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “সিনেমাটি দুই বাংলার দর্শকদের টার্গেট করে বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষ করে ছাত্রদের আবেগের কথা মাথায় রেখে। আমার কোনো সিনেমায় বাংলাদেশের এমন কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে অভিনয় করাবো না, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। সে হিসেবেই ফেরদৌসকে আমরা সিনেমাটিতে রাখছি না।’”
সরকার পতনের পর থেকে নিখোঁজ এই তারকা। মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে, কলকাতার বন্ধু অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে ঋতুপর্ণা জানান, ফেরদৌস তার আশ্রয়ে নেই।
রবিবার টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা গণমাধ্যমে বললেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে আমার খুব ভালো একটা সম্পর্ক। ফেরদৌস আমার একজন ভালো বন্ধু, কিন্তু এ কথাটা তো একদমই এমন নয় যে সে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে আমার বাড়িতে উঠেছে! আমার মনেও হয় না, সে দেশ থেকে বেরিয়েছে। বের হলে আমরা তো জানতে পারতাম। বিষয়টা তো এমন নয় ফেরদৌস অপরিচিত মুখ। তার মতো মানুষ, দেশ থেকে বের হলে এমনিতে সবাই জানতে পারবে যে দেশ থেকে বেরোচ্ছে। আমার পরিষ্কার কথা, সে যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক, বাংলাদেশের সবাই ভালো থাকুক।”
“মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু” সিনেমায় স্বামী–স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করার কথা ছিল ফেরদৌস ও শ্রীলেখা মিত্রের।
গত বছরের শুরুর দিকে অভিনয়শিল্পীদের লুক প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল “মীর জাফর: চ্যাপ্টার টু” সিনেমার। তবে এখনও শুটিং শুরু হয়নি। ফেরদৌসের কারণেই কি এই বিলম্ব? জবাবে রানা সরকার বলেন, “২০২৩ সালেই শুটিং হওয়ার কথা ছিল, তবে সেটা সম্ভব হয়নি। ফেরদৌসের কারণে নয়, বিভিন্ন কারণে একটু দেরি হচ্ছে। যেহেতু এটার শুটিং হবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায়, তাই সেখানে অনুমতির একটা বিষয় ছিল।”