রংপুরের রাজা রামমোহন ক্লাবের সামনে গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিতে সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ হোসেন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ জনকে।
নিহতের স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে রংপুর আদালতে মামলাটি করেন। বিচারক মামলাটি রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রংপুরের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ বাবু এই আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মোফাজ্জল হোসেন বকুল জানান, ‘গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। আন্দোলন নিবৃত্ত করতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে শালবন এলাকার সবজি বিক্রেতা সাজ্জাদ নিহত হন।’
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী নিসুল হক, তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাত, হাসানুল হক ইনু, নাইমুল ইসলাম খান, রাশেদ খান মেনন, রংপুরের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, জাকির হোসেন সরকার, আসাদুজ্জামান বাবলু, বদরগঞ্জ পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরী, সাবেক আইজিপিসহ ৮ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫৭ জন। নাম না জানা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে রংপুর নগরীর রাজা রামমোহন সংলগ্ন কৈলাশরঞ্জণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সাজ্জাদ হোসেন। পরের দিন শনিবার সকাল ১০টায় বিসমিল্লাহ জামে মসজিদে জানাজা শেষে কৈলাশরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পাশের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহত সাজ্জাদের সিনহা নামের একটি মেয়ে রয়েছে।