‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডসহ সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে প্রাথমিক অনুসন্ধানের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতিসংঘ। তদন্তের ধরন কেমন হবে, সে বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করতে এসেছিলাম আমরা। এটি অনুসন্ধানী সফর।’
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকশিনারের অফিসের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তাদের আলোচনা শুরু করেছে। বৈঠকে সহকারী পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর হাইকমিশনার দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন সাংবাদিকদের উল্লিখিত কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রাক-অনুসন্ধানী ছোট একটি দল এসেছি। সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণকে এ বিষয়ে কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতিসংঘের হাইকমিশনার দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান বলেন, এই প্রেক্ষাপটে আমার অফিস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, নাগরিক সমাজ ও বাংলাদেশের জনগণকে যে কোনো সহায়তা করতে রাজি আছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, উপদেষ্টা, কয়েকটি মন্ত্রণালয়, সুশীলসমাজের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের চাহিদা এবং অগ্রাধিকার সম্পর্কে জানব। এ বিষয়ে হাইকমিশনারের অফিস কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সেটি বুঝব।
রোরি মুঙ্গোভেন আরও বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। কীভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব সবার সাথে।
এই সপ্তাহে জাতিসংঘের যে দলটি বাংলাদেশ সফর করছে, সেটি তদন্ত দল নয় বলেও জানান রোরি মুঙ্গোভেন।
বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে তরুণরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তাতে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার ভলকার টুর্ক অনুপ্রাণিত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে এটিকে ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে দেখছেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে হত্যা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্ত করতে জাতিসংঘের তিন সদস্যের দল ঢাকায় পৌঁছায় বুধবার (২১ আগস্ট) মধ্যরাতে।