খেলোয়াড়দের স্বার্থে কাজ করবে ফারুকের বোর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
খেলোয়াড়দের স্বার্থে কাজ করবে ফারুকের বোর্ড
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপনের লম্বা ক্ষমতাকালে সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার অনেকেই যুক্ত ছিলেন। আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দূর্জয়, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাহমুদ সুজন, ফারুক আহমেদ অন্যতম।

এদের কেউ কেউ বোর্ড পরিচালকও হয়েছেন। কেউ কেউ আবার জাতীয় নির্বাচকের ভূমিকায় ছিলেন। হয়েছেন প্রধান নির্বাচকও। সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান পরিচালক হিসেবেই বেশি সময় কাটিয়েছেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানও ছিলেন। তাই বলাই যায় বিসিবি সভাপতির খুব কাছেরই ছিলেন।

ক্ষমতার পালাবদল হলেও আকরাম খান তার চেয়ার হারাননি। বোর্ড পরিচালক হিসেবে এখনও বহাল তবিয়তে। ফারুক আহমেদ এখন বোর্ড সভাপতির চেয়ারে। প্রথম সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে বিসিবি সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন তিনি। তাই তার থেকে প্রত্যাশাও বেশি। আগের মেয়াদের সভাপতিরা যা করতে পারেননি, যা বুঝতে পারেননি, ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন; ফারুক আহমেদ এক বছরেই তা করবেন এমনটাই বিশ্বাস সকলের। মেয়াদ খুব অল্পদিনের। কারণ, আগামী অক্টোবরেই বিসিবি নির্বাচন।

এই মেয়াদে ফারুক আহমেদের বোর্ড খেলোয়াড়দের স্বার্থে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করেন আকরাম খান, ‘আমরা সব সময় আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে নেওয়া যায়। এখন যেহেতু বাংলাদেশে প্রথম কোনো ক্রিকেট খেলোয়াড় (সাবেক) বোর্ড সভাপতি হয়েছেন, তো আমি একটা কথা বলতে চাই- নিশ্চিতভাবেই খেলোয়াড়দের অনেক সুযোগ-সুবিধা যেটা হয়তো আগে বুঝাইতে অনেক কষ্ট হয়েছে, এখন সেটা হবে না। এটার ফলও ওরা পাবে।’

নিজেদের কাজের সম্পর্কে খানিকটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আকরাম খান, ‘আমরা চেষ্টা করব যে এক বছরের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব…হয়তো বা বড় কোনো কাজে যেতে পারব না। ছোট ছোট যে কাজগুলো আছে সেগুলো সম্পূর্ণ করা.. খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো। ইনডোর আছে, ছোট ছোট মাঠ আমরা ডেভেলপ করে দিব। ঢাকার বাইরে অনেক জায়গা আছে, খেলোয়াড় আছে যারা মাঠের জন্য খেলার সুযোগ পায় না। সেগুলো আমাদের মাথায় আছে। সেগুলো আমরা কাজ করব।’

কিভাবে বোর্ড এগিয়ে যাবে সেই দিক রোডম্যাপ এখনও তৈরি হয়নি। বৃহস্পতিবার চলমান বোর্ডের দ্বিতীয় বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সামনে দ্রুততম সময়ে আবারও বসবেন নীতিনির্ধারকেরা। সব কিছু তখনই পরিস্কার হবে বলে বিশ্বাস করেন আকরাম খান, ‘এই বোর্ড আসার পর আমাদের একটা জরুরি মিটিং হয়েছে। তারপর আর কোনো মিটিং হয়নি। কিছুদিন যাক তারপর এই (রোডম্যাপ) কথা আমরা বলব। এখন আমরা মনে করি ইটস টু আর্লি। কিছুদিন সময় দেন আমরা দুই একটা মিটিং করি, কিছু আলাপ-আলোচনা করে জানা যাবে।’

এদিকে সাকিব আল হাসানের মামলা ইস্যু নিয়ে প্রথম টেস্টের পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল বোর্ডের। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। বৃহস্পতিবার বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলোয়াড়দের স্বার্থে কাজ করবে ফারুকের বোর্ড

খেলোয়াড়দের স্বার্থে কাজ করবে ফারুকের বোর্ড
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নাজমুল হাসান পাপনের লম্বা ক্ষমতাকালে সাবেক অধিনায়ক, ক্রিকেটার অনেকেই যুক্ত ছিলেন। আকরাম খান, নাঈমুর রহমান দূর্জয়, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাহমুদ সুজন, ফারুক আহমেদ অন্যতম।

এদের কেউ কেউ বোর্ড পরিচালকও হয়েছেন। কেউ কেউ আবার জাতীয় নির্বাচকের ভূমিকায় ছিলেন। হয়েছেন প্রধান নির্বাচকও। সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান পরিচালক হিসেবেই বেশি সময় কাটিয়েছেন। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানও ছিলেন। তাই বলাই যায় বিসিবি সভাপতির খুব কাছেরই ছিলেন।

ক্ষমতার পালাবদল হলেও আকরাম খান তার চেয়ার হারাননি। বোর্ড পরিচালক হিসেবে এখনও বহাল তবিয়তে। ফারুক আহমেদ এখন বোর্ড সভাপতির চেয়ারে। প্রথম সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে বিসিবি সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন তিনি। তাই তার থেকে প্রত্যাশাও বেশি। আগের মেয়াদের সভাপতিরা যা করতে পারেননি, যা বুঝতে পারেননি, ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন; ফারুক আহমেদ এক বছরেই তা করবেন এমনটাই বিশ্বাস সকলের। মেয়াদ খুব অল্পদিনের। কারণ, আগামী অক্টোবরেই বিসিবি নির্বাচন।

এই মেয়াদে ফারুক আহমেদের বোর্ড খেলোয়াড়দের স্বার্থে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করেন আকরাম খান, ‘আমরা সব সময় আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে নেওয়া যায়। এখন যেহেতু বাংলাদেশে প্রথম কোনো ক্রিকেট খেলোয়াড় (সাবেক) বোর্ড সভাপতি হয়েছেন, তো আমি একটা কথা বলতে চাই- নিশ্চিতভাবেই খেলোয়াড়দের অনেক সুযোগ-সুবিধা যেটা হয়তো আগে বুঝাইতে অনেক কষ্ট হয়েছে, এখন সেটা হবে না। এটার ফলও ওরা পাবে।’

নিজেদের কাজের সম্পর্কে খানিকটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আকরাম খান, ‘আমরা চেষ্টা করব যে এক বছরের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব…হয়তো বা বড় কোনো কাজে যেতে পারব না। ছোট ছোট যে কাজগুলো আছে সেগুলো সম্পূর্ণ করা.. খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো। ইনডোর আছে, ছোট ছোট মাঠ আমরা ডেভেলপ করে দিব। ঢাকার বাইরে অনেক জায়গা আছে, খেলোয়াড় আছে যারা মাঠের জন্য খেলার সুযোগ পায় না। সেগুলো আমাদের মাথায় আছে। সেগুলো আমরা কাজ করব।’

কিভাবে বোর্ড এগিয়ে যাবে সেই দিক রোডম্যাপ এখনও তৈরি হয়নি। বৃহস্পতিবার চলমান বোর্ডের দ্বিতীয় বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। সামনে দ্রুততম সময়ে আবারও বসবেন নীতিনির্ধারকেরা। সব কিছু তখনই পরিস্কার হবে বলে বিশ্বাস করেন আকরাম খান, ‘এই বোর্ড আসার পর আমাদের একটা জরুরি মিটিং হয়েছে। তারপর আর কোনো মিটিং হয়নি। কিছুদিন যাক তারপর এই (রোডম্যাপ) কথা আমরা বলব। এখন আমরা মনে করি ইটস টু আর্লি। কিছুদিন সময় দেন আমরা দুই একটা মিটিং করি, কিছু আলাপ-আলোচনা করে জানা যাবে।’

এদিকে সাকিব আল হাসানের মামলা ইস্যু নিয়ে প্রথম টেস্টের পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল বোর্ডের। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। বৃহস্পতিবার বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।