ভারত ২০ ওভারে ২২১/৯ (ওয়াশিংটন ০*, আর্শদীপ ৬, বরুণ ০, হার্দিক ৩২, রিংকু ৫৩, নিতিশ ৭৪, সূর্যকুমার ৮, অভিষেক ১৫, স্যামসন ১০)
প্রথমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের দুইশ, এক ওভারে রিশাদের ৩ উইকেট
১৯তম ওভারে টানা দুটি ছক্কা মেরে রিয়ান পরাগ তানজিম হাসান সাকিবের শিকার হলেন। ৬ বলে ১৫ রান করে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ হন তিনি। একই ওভারের দ্বিতীয় বলে মিডউইকেট দিয়ে হার্দিক পান্ডিয়া চার মারলে প্রথমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ভারত দুইশ রান করে। শেষ ওভারে রিশাদ হোসেন দুটি উইকেট পান। ১৯ বলে ৩২ রান করে হার্দিক মিরাজকে ক্যাচ দেন। তৃতীয় বলে বরুণ চক্রবর্ত্তী ডাক মারেন পারভেজ হোসেন ইমনকে ক্যাচ দিয়ে। পঞ্চম বলে আর্শদীপ সিংকে ৬ রানে লিটন দাসের ক্যাচ বানান বাংলাদেশের লেগস্পিনার।
তাসকিনের শিকার রিংকু
বড় শট খেলে বাংলাদেশের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেওয়া রিংকু সিং থামলেন তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে। দুটি স্লোয়ার ডেলিভারির পর বুক সমান উঁচুতে আসা বল পুল করে লেগ সাইডে জাকের আলীর ক্যাচ হন তিনি। ২৯ বলে ৫৩ রান করেন ভারতের ব্যাটার। ১৮৫ রানে পাঁচ উইকেট হারালো ভারত। অন্য বোলারদের অসহায়ত্বের দিনে তাসকিন ৪ ওভারে ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে কিছুটা হলেও সফল।
টানা চার-ছক্কায় রিংকুর হাফ সেঞ্চুরি
তানজিম হাসান সাকিবকে ১৬তম ওভারের শেষ তিন বলে টানা দুটি চার ও এক ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি করলেন রিংকু সিং। ২৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটির দেখা পান ভারতের ব্যাটার।
নিতিশ ঝড় থামালেন মোস্তাফিজ
১৩তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে নিতিশ কুমার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৬ রান তোলেন। বাংলাদেশি অফস্পিনারের হাতেই ধরা পড়লেন ভারতের ব্যাটার। বোলিংয়ে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১৪তম ওভারে বাংলাদেশি পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারিতে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ হলে থামে নিতিশের ৩৪ বলে চারটি চার ও সাত ছয়ে সাজানো ৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ১৪৯ রানে চার উইকেট হারালো ভারত। রিংকু সিংয়ের সঙ্গে ৪৯ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়েন নিতিশ।
জীবন পাওয়া নিতিশের হাফ সেঞ্চুরি
পঞ্চম ওভারে লিটন দাসের গ্লাভস ফসকে জীবন পাওয়া নিতিশ কুমার রেড্ডি ২৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন, নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। তিন চার ও এক ছয় মারেন তিনি।
রিংকু-নিতিশের ব্যাটিং তাণ্ডব
রিংকু সিং ও নিতিশ কুমার রেড্ডি ব্যাটিং তাণ্ডব চালালেন। অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে রিশাদ হোসেনকে ছক্কা মেরে শুরু, ওই ওভারে ১১ রান দেন বাংলাদেশি স্পিনার। ১৪ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে ৪৬ রান তুলেছে ভারত। রিশাদ ইনিংসের দশম ওভারে ২৪ রান দেন। মাঝে নবম ওভারে মাহমুদউল্লাহ দেন ১৫ রান।
নিতিশ জীবন পেলেও মোস্তাফিজের শিকার সূর্যকুমার
পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট পেলো বাংলাদেশ। দিয়েছে ৪৫ রান। লিটন দাস ক্যাচ না ফেললে সফরকারীদের ঝুলিতে থাকতো চার উইকেট।
পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে তানজিম হাসান সাকিবের বলে গতি থাকায় নিতিশ কুমার রেড্ডির গ্লাভস ছুঁয়ে আসা বল ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশি কিপার। ভারতীয় ব্যাটারের তখন রান ছিল ৬।
তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানিয়ে সূর্যকুমার যাদবকে ৮ রানে থামান মোস্তাফিজুর রহমান।
অভিষেকের স্টাম্প ভাঙলেন তানজিম
মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদের পর তৃতীয় ওভরে বোলিংয়ে আসেন তানজিম হাসান সাকিব। শরিফুল ইসলামের বদলে একাদশে ঢুকে শুরুটা ভালো হয়নি তার। অভিষেক শর্মার কাছে টানা দুটি চার হজম করার পর শেষ বলে তার স্টাম্প ভাঙলেন এই পেসার। ইনসাইড এজ হয়ে অফ স্টাম্প উপড়ে যায়। ১১ বলে ৩ চারে ১৫ রান করেন ভারতীয় ওপেনার। ২৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো স্বাগতিকরা।
মিরাজের ওভারে ১৫ রান, দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনের সাফল্য
মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম ওভারে বল হাতে নেন। দ্বিতীয় বল থেকেই মারমুখী ভারত। সাঞ্জু স্যামসন টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন। শেষ বলে অফস্পিনারকে চার মারেন অভিষেক শর্মা। প্রথম ওভারে ১৫ রান দেয় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ বোলিংয়ে আসেন। প্রথম পাঁচ বলে তার কাছ থেকে মাত্র দুটি সিঙ্গেল আদায় করেন অভিষেক ও স্যামসন। শেষ বলে ভাঙে এই জুটি। ৭ বলে ১০ রান করে স্যামসন ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারালো ভারত।
টসে জিতে বোলিং নিয়েছে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি সিরিজে টিকে থাকার লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়তে পারে। দিল্লির এই উইকেটে বড় স্কোরের প্রত্যাশা তার, ‘দিল্লিতে দুটি জয় আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে। কিন্তু আজ আমাদের ভালো খেলতে হবে। প্রথম ছয় ওভারে টপ অর্ডারকে ভালো করতে হবে।’ দলে একটি পরিবর্তন। শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়ে তানজিম হাসান সাকিবকে নেওয়া হয়েছে।
ভারত অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে।
ভারত স্কোয়াড: অভিষেক শর্মা, সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), রিয়ান পরাগ, নিতিশ কুমার রেড্ডি, হার্দিক পান্ডিয়া, রিংকু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর, বরুণ চক্রবর্ত্তী, মায়াঙ্ক যাদব, আর্শদীপ সিং।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: লিটন দাস (উইকেটকিপার) পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।