জাপানিরা কীভাবে শত বছর বাঁচে জানেন?

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
জাপানিরা কীভাবে শত বছর বাঁচে জানেন?

জাপানের একটি দ্বীপপুঞ্জ হচ্ছে ওকিনাওয়া। বিশ্বের পাঁচটি নীল অঞ্চলের মধ্যে একটি এটি। অঞ্চলটি বিখ্যাত কেন জানেন? বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘজীবী মানুষের আবাসস্থল এখানেই। ২০২১ সালের একটি রিপোর্ট বলছে, প্রতি ১ হাজার ৪৫০ জনের মধ্যে একজন জাপানি ব্যক্তির বয়স শত বছরেরও বেশি এবং শতবর্ষের নারী ৮৮.৪ শতাংশ। ওকিনাওয়া শতবর্ষী অধ্যয়ন গবেষণা দলের একজন সদস্য ডক্টর ব্র্যাডলি উইলকক্স। তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দ্বীপে শতবর্ষীদের নিয়ে গবেষণা করছেন। ব্র্যাডলি উইলকক্স অঞ্চলটির দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপনের কিছু রহস্য ব্যাখ্যা করেন একটি প্রতিবেদনে।

১। ওকিনাওয়ার নাগরিকদের মধ্যে সামাজিক সংযোগ অনেক বেশি। সামাজিকীকরণ তাদের দীর্ঘজীবন লাভের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর অবদান রাখে। বেশি বয়সে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার একটি কারণ।

২। স্বাস্থ্যকর খাবারের উপর ভীষণ গুরুত্ব দেয় দ্বীপটির বাসিন্দারা। বয়স্ক ওকিনাওয়ানরা বিশ্বাস করে যে দেহ একটি পবিত্র স্থান এবং আপনার এটিকে দূষিত করা উচিত নয়। তারা পরিমিতভাবে অ্যালকোহল পান করে এবং ধূমপান থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে। তারা শারীরিকভাবেও খুব খুব সক্রিয় থাকে। এতে শরীরে বাড়তি চর্বি জমে না। মূলত উদ্ভিজ্জ খাবারই খায় এখানকার নাগরিকরা। তারা দিনে প্রায় এক কেজি শাকসবজি এবং ফল খায়। লেবু ও সয়াবিন খায় প্রায় প্রতিটি খাবারের সঙ্গেই। রুটির পরিবর্তে প্রধান কার্বোহাইড্রেট হিসেবে মিষ্টি আলু পছন্দ ওকিনাওয়ার নাগরিকদের। মিষ্টি আলুর রঙিন ফ্ল্যাভোনয়েড যৌগ সুস্থ থাকতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।

৩। ইতিবাচক মনোভাব ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। তারা সাধারণত আশাবাদী হয়। জীবন উপভোগ করার এই গুণ তাদের দিয়েছে দীর্ঘজীবন।

৪। ওকিনাওয়ানদের জীবনে অবসর বলে কোনও শব্দ নেই। একজন কৃষক শেষ বয়স পর্যন্ত চাষ করেন। তারা ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। সারা জীবন শারীরিক এবং মানসিকভাবে সক্রিয় থাকা তাদের দীর্ঘায়ু লাভের গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

৫। ওকিনাওয়ানরা আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মকে ভীষণ গুরুত্ব দেয়। তাদের নিজস্ব আদিবাসী ধর্ম রয়েছে। তারা বিশ্বাস করে যে সবকিছুর মধ্যে একটি আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে। তারা ধর্ম চর্চাকে প্রাধান্য দেয় এবং প্রতিটি গ্রামে থাকে একজন পুরোহিত।

তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরাম

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাপানিরা কীভাবে শত বছর বাঁচে জানেন?

জাপানিরা কীভাবে শত বছর বাঁচে জানেন?

জাপানের একটি দ্বীপপুঞ্জ হচ্ছে ওকিনাওয়া। বিশ্বের পাঁচটি নীল অঞ্চলের মধ্যে একটি এটি। অঞ্চলটি বিখ্যাত কেন জানেন? বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘজীবী মানুষের আবাসস্থল এখানেই। ২০২১ সালের একটি রিপোর্ট বলছে, প্রতি ১ হাজার ৪৫০ জনের মধ্যে একজন জাপানি ব্যক্তির বয়স শত বছরেরও বেশি এবং শতবর্ষের নারী ৮৮.৪ শতাংশ। ওকিনাওয়া শতবর্ষী অধ্যয়ন গবেষণা দলের একজন সদস্য ডক্টর ব্র্যাডলি উইলকক্স। তিনি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দ্বীপে শতবর্ষীদের নিয়ে গবেষণা করছেন। ব্র্যাডলি উইলকক্স অঞ্চলটির দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপনের কিছু রহস্য ব্যাখ্যা করেন একটি প্রতিবেদনে।

১। ওকিনাওয়ার নাগরিকদের মধ্যে সামাজিক সংযোগ অনেক বেশি। সামাজিকীকরণ তাদের দীর্ঘজীবন লাভের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর অবদান রাখে। বেশি বয়সে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার একটি কারণ।

২। স্বাস্থ্যকর খাবারের উপর ভীষণ গুরুত্ব দেয় দ্বীপটির বাসিন্দারা। বয়স্ক ওকিনাওয়ানরা বিশ্বাস করে যে দেহ একটি পবিত্র স্থান এবং আপনার এটিকে দূষিত করা উচিত নয়। তারা পরিমিতভাবে অ্যালকোহল পান করে এবং ধূমপান থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করে। তারা শারীরিকভাবেও খুব খুব সক্রিয় থাকে। এতে শরীরে বাড়তি চর্বি জমে না। মূলত উদ্ভিজ্জ খাবারই খায় এখানকার নাগরিকরা। তারা দিনে প্রায় এক কেজি শাকসবজি এবং ফল খায়। লেবু ও সয়াবিন খায় প্রায় প্রতিটি খাবারের সঙ্গেই। রুটির পরিবর্তে প্রধান কার্বোহাইড্রেট হিসেবে মিষ্টি আলু পছন্দ ওকিনাওয়ার নাগরিকদের। মিষ্টি আলুর রঙিন ফ্ল্যাভোনয়েড যৌগ সুস্থ থাকতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।

৩। ইতিবাচক মনোভাব ওকিনাওয়ার বাসিন্দাদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। তারা সাধারণত আশাবাদী হয়। জীবন উপভোগ করার এই গুণ তাদের দিয়েছে দীর্ঘজীবন।

৪। ওকিনাওয়ানদের জীবনে অবসর বলে কোনও শব্দ নেই। একজন কৃষক শেষ বয়স পর্যন্ত চাষ করেন। তারা ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। সারা জীবন শারীরিক এবং মানসিকভাবে সক্রিয় থাকা তাদের দীর্ঘায়ু লাভের গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

৫। ওকিনাওয়ানরা আধ্যাত্মিকতা বা ধর্মকে ভীষণ গুরুত্ব দেয়। তাদের নিজস্ব আদিবাসী ধর্ম রয়েছে। তারা বিশ্বাস করে যে সবকিছুর মধ্যে একটি আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে। তারা ধর্ম চর্চাকে প্রাধান্য দেয় এবং প্রতিটি গ্রামে থাকে একজন পুরোহিত।

তথ্যসূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ফোরাম

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত