এখনও স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের মধ্যে বাস করছে: সেলিমা রহমান

,
এখনও স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের মধ্যে বাস করছে: সেলিমা রহমান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, বর্তমান সময়ে আমরা স্বস্তিতে নাই। এখনও স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের মধ্যে বাস করছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারা বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতি ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠিয়েছে, ছাত্র সমাজ বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে দুঃশাসনমুক্ত করেছে, একইভাবে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শহীদ জিয়ার স্বপ্নের সাম্য, অধিকার, মর্যাদার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শেরে-ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শেরে-ই বাংলা একে ফজলুল হক ফাউন্ডেশন।

সভায় খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে সেলিমা রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ বছর মিথ্যা মামলা দিয়ে ধুকে ধুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাকে এখনও বিদেশে অবস্থান করতে হচ্ছে। তার মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। আমরা তার মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শের-ই বাংলা প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতার মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে আমারা এখন স্মরণ করি না। পাকিস্তান থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শের-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মাওলানা ভাসানী। কিন্তু তাদের কথা নতুন প্রজন্ম জানে না। তারা জন্মগ্রহণ করেছিল বলেই ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা যদি শের-ই বাংলার আদর্শ অনুসরণ করতে পারতাম, তাহলে আজ বাংলাদেশে ৩৬ জুলাই আসতো না। এতো মানুষের বুকের রক্ত ঝরতো না। এতো শোষিত মানুষের কান্না শোনা যেতো না। স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ শেরে বাংলা আমাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে যুদ্ধের সময় অনেক লোক মারা যেতো। তিনি শুধু ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। যুদ্ধ শেষ করে তিনি আবার ব্যারাকে ফিরে গিয়েছেন। ব্যারাক থেকে বাংলাদেশের জনগণ তাকে আবার উঠিয়ে এনেছে, স্বাধীনার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ঝুড়ি ভর্তি ফসল উৎপাদন করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মর্যাদায় আসীন করেন।’

শেরে-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও ছিলেন– বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. শাশীম আহমেদ ফজলুল হক প্রমুখ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এখনও স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের মধ্যে বাস করছে: সেলিমা রহমান

এখনও স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের মধ্যে বাস করছে: সেলিমা রহমান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, বর্তমান সময়ে আমরা স্বস্তিতে নাই। এখনও স্বৈরাচারের দোসররা আমাদের মধ্যে বাস করছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তারা বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতি ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঠিয়েছে, ছাত্র সমাজ বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে দুঃশাসনমুক্ত করেছে, একইভাবে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শহীদ জিয়ার স্বপ্নের সাম্য, অধিকার, মর্যাদার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে শেরে-ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শেরে-ই বাংলা একে ফজলুল হক ফাউন্ডেশন।

সভায় খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে সেলিমা রহমান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ বছর মিথ্যা মামলা দিয়ে ধুকে ধুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাকে এখনও বিদেশে অবস্থান করতে হচ্ছে। তার মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। আমরা তার মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শের-ই বাংলা প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতার মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে আমারা এখন স্মরণ করি না। পাকিস্তান থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশ এগিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শের-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক ও মাওলানা ভাসানী। কিন্তু তাদের কথা নতুন প্রজন্ম জানে না। তারা জন্মগ্রহণ করেছিল বলেই ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পেয়েছি। আমরা যদি শের-ই বাংলার আদর্শ অনুসরণ করতে পারতাম, তাহলে আজ বাংলাদেশে ৩৬ জুলাই আসতো না। এতো মানুষের বুকের রক্ত ঝরতো না। এতো শোষিত মানুষের কান্না শোনা যেতো না। স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ শেরে বাংলা আমাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে যুদ্ধের সময় অনেক লোক মারা যেতো। তিনি শুধু ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। যুদ্ধ শেষ করে তিনি আবার ব্যারাকে ফিরে গিয়েছেন। ব্যারাক থেকে বাংলাদেশের জনগণ তাকে আবার উঠিয়ে এনেছে, স্বাধীনার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে ঝুড়ি ভর্তি ফসল উৎপাদন করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে মর্যাদায় আসীন করেন।’

শেরে-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও ছিলেন– বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. শাশীম আহমেদ ফজলুল হক প্রমুখ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত