কুষ্টিয়া-১; নির্বাচনী মাঠে দৌড়াচ্ছেন যারা

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
কুষ্টিয়া-১; নির্বাচনী মাঠে দৌড়াচ্ছেন যারা
কুষ্টিয়া-১; নির্বাচনী মাঠে দৌড়াচ্ছেন যারা

জহুরুল হক, দৌলতপুর প্রতিনিধি : ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়ার চারটি আসনে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন। প্রতিদিনই এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন দলগুলোর নেতারা।স্বাধীনতার পর কুষ্টিয়াকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।তবে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাসদ চারটি আসনই দখলে নেয়। এরপর টানা ১৬ বছর ওই অবস্থান ধরে রেখেছিল আওয়ামী জোট। কিন্তু সরকার পতনের পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। বিএনপি এবার ভাবছে আওয়ামীলীগ না থাকায় ফাঁকামাঠে তারাই বিজয়ী হবেন। তাই তারা ভোটের লড়াইয়ে নামছে সর্বশক্তি নিয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সব আসনে প্রার্থী দিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছেন।১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার এই আসনগুলো আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাসদের মধ্যে পালাক্রমে ভাগ হয়েছে।

তবে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বেশির ভাগ আসনই ছিল বিএনপির দখলে। সেই সময়কার উন্নয়ন সামনে রেখে এবারও ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইছেন বিএনপি নেতারা। কুষ্টিয়া-১ আসনটিও (দৌলতপুর) তার ব্যাতিক্রম নয়। জেলার চারটি আসনের সব কটিতেই বিএনপিতে এখন অভ্যন্তরীণ বিভেদ/কোন্দল লক্ষ করা যাচ্ছে। একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, এ কোন্দল তত বাড়বে। তবে, দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনটি ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের পরে ১৯৭৯ সালে এই আসনে জয়ী হয় বিএনপি। এরপর ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে আসনটি যায় জাতীয় পার্টির দখলে। পরে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আবার বিএনপি জয়ী হলেও ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত একটানা আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন বিএনপি নেতারা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলহাজ আলতাফ হোসেন, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট রমজান আলী, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর (উত্তর)এর আহবায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান সজীব। মাঠে থাকা এ সকল সম্ভাব্য প্রার্থীগণ নিজেদের অতীতের সরকার বিরোধী ভুমিকা, দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থাকা সহ দলের জন্য নিবেদিত মানুষকে বেছে নেয়া হবে বলে তারা মনে করেন। সাবেক সাংসদ বাচ্চু মোল্লা জানান, এ আসনে জয়-পরাজয় র্ভির করবে প্রার্থী মনোনয়ন এর উপর ভিত্তি করে। শহীদ সরকার মঙ্গল জানান, দু-একজন নেতা দলটাকে বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করেন। তাই আমরা এবার এই গন্ডি থেকে দলকে বের করে আনতে চাই। নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা বলেন, দলের নামে যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেহুারবাজি করবে এবার নেতাকর্মীরা তাদের লালকার্ড দেখাবে। এডভোকেট রমজান আলী বলেন, দলের বর্তমান সভাপতি নীল নকশার মাধ্যমে এত বড় দলের একটি পকেট কমিটি গঠন করেছে। যার কারণে আমরা সহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিকল্প নেতা তৈরী করার জন্য আগামী নির্বাচনকে বেছে নিয়েছি।

এখানে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন মাওলানা বেলাল উদ্দিন। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তিনি মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন (চরমোনাই) মওলানা মুফতি আমিনুল ইসলাম এবং এনসিপির নেত্রী নুসরাত তাবাচ্ছুমও নির্বাচন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কুষ্টিয়া-১; নির্বাচনী মাঠে দৌড়াচ্ছেন যারা

কুষ্টিয়া-১; নির্বাচনী মাঠে দৌড়াচ্ছেন যারা
কুষ্টিয়া-১; নির্বাচনী মাঠে দৌড়াচ্ছেন যারা

জহুরুল হক, দৌলতপুর প্রতিনিধি : ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়ার চারটি আসনে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন। প্রতিদিনই এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন দলগুলোর নেতারা।স্বাধীনতার পর কুষ্টিয়াকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।তবে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাসদ চারটি আসনই দখলে নেয়। এরপর টানা ১৬ বছর ওই অবস্থান ধরে রেখেছিল আওয়ামী জোট। কিন্তু সরকার পতনের পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। বিএনপি এবার ভাবছে আওয়ামীলীগ না থাকায় ফাঁকামাঠে তারাই বিজয়ী হবেন। তাই তারা ভোটের লড়াইয়ে নামছে সর্বশক্তি নিয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সব আসনে প্রার্থী দিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছেন।১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার এই আসনগুলো আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাসদের মধ্যে পালাক্রমে ভাগ হয়েছে।

তবে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বেশির ভাগ আসনই ছিল বিএনপির দখলে। সেই সময়কার উন্নয়ন সামনে রেখে এবারও ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইছেন বিএনপি নেতারা। কুষ্টিয়া-১ আসনটিও (দৌলতপুর) তার ব্যাতিক্রম নয়। জেলার চারটি আসনের সব কটিতেই বিএনপিতে এখন অভ্যন্তরীণ বিভেদ/কোন্দল লক্ষ করা যাচ্ছে। একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকায় স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে, এ কোন্দল তত বাড়বে। তবে, দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, মনোনয়ন চূড়ান্ত হলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনটি ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের পরে ১৯৭৯ সালে এই আসনে জয়ী হয় বিএনপি। এরপর ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে আসনটি যায় জাতীয় পার্টির দখলে। পরে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আবার বিএনপি জয়ী হলেও ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত একটানা আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন বিএনপি নেতারা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলহাজ আলতাফ হোসেন, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সদস্য সচিব শহীদ সরকার মঙ্গল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট রমজান আলী, সাবেক ছাত্রনেতা ও সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা, জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর (উত্তর)এর আহবায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান সজীব। মাঠে থাকা এ সকল সম্ভাব্য প্রার্থীগণ নিজেদের অতীতের সরকার বিরোধী ভুমিকা, দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থাকা সহ দলের জন্য নিবেদিত মানুষকে বেছে নেয়া হবে বলে তারা মনে করেন। সাবেক সাংসদ বাচ্চু মোল্লা জানান, এ আসনে জয়-পরাজয় র্ভির করবে প্রার্থী মনোনয়ন এর উপর ভিত্তি করে। শহীদ সরকার মঙ্গল জানান, দু-একজন নেতা দলটাকে বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করেন। তাই আমরা এবার এই গন্ডি থেকে দলকে বের করে আনতে চাই। নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা বলেন, দলের নামে যারা চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেহুারবাজি করবে এবার নেতাকর্মীরা তাদের লালকার্ড দেখাবে। এডভোকেট রমজান আলী বলেন, দলের বর্তমান সভাপতি নীল নকশার মাধ্যমে এত বড় দলের একটি পকেট কমিটি গঠন করেছে। যার কারণে আমরা সহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিকল্প নেতা তৈরী করার জন্য আগামী নির্বাচনকে বেছে নিয়েছি।

এখানে জামায়াতের মনোনয়ন পেয়েছেন মাওলানা বেলাল উদ্দিন। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই তিনি মাঠে তৎপরতা চালাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন (চরমোনাই) মওলানা মুফতি আমিনুল ইসলাম এবং এনসিপির নেত্রী নুসরাত তাবাচ্ছুমও নির্বাচন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত