সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে ফের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামীকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, এর আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা হলেও কাঙ্ক্ষিত সমঝোতা গড়ে ওঠেনি। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া আনুষ্ঠানিক সংলাপে ধারাবাহিকভাবে ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
সবশেষ রোববারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তবে এখনো সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য হয়নি।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে দুই ধাপ সংলাপে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসন সংস্কারসহ মোট ৮৪টি প্রস্তাবে মৌলিক ঐকমত্য গড়ে ওঠে। সেই প্রস্তাবগুলোর ভিত্তিতেই প্রস্তুত করা হয় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’।
তবে বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। বিএনপি চায় পরবর্তী জাতীয় সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে সংবিধান সংশোধনসহ সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন হোক। জামায়াতে ইসলামী প্রস্তাব দিয়েছে গণভোট বা সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করছে একটি গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়নের। অপর কিছু দল সুপ্রিম কোর্টের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রেফারেন্স নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশনের এক সদস্য জানান, “আমরা চাই রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য বাস্তবায়ন কাঠামো নির্ধারণ করতে। এজন্যই আলাদা বৈঠক ডাকা হয়েছে।”