দোহায় বিমান অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আর এ কারণে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছে কাতার।
মঙ্গলবার ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর সাম্প্রতিক হামলা বৃথা যায়নি, বরং এই হামলার মাধ্যমে কাতারকে ‘বার্তা’ দেওয়া হয়েছে। খবর আলজাজিরার
নেতানিয়াহু এই বক্তব্য দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তাঁর বেপরোয়া নীতির কারণে প্রতিটি ব্যর্থতার পর সেই ব্যর্থতাকে ঢাকা এবং ন্যায্যতা দানের চেষ্টা করেন। আমরা তাঁর এই স্বভাবের সঙ্গে পরিচিত। আজ তিনি যে বার্তা দিয়েছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় আমরাও তাঁকে একটি জরুরি বার্তা দিতে চাই আর তা হলো– দোহায় হামলার নির্দেশ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছেন এবং এ জন্য তিনি শাস্তি এড়িয়ে যেতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে ২০১২ সাল থেকে কাতারে বসবাস করছেন হামাসের শীর্ষ নেতারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী তিন দেশের মধ্যে কাতার অন্যতম। বাকি দুই দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর।