প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সংশোধনীর ফলে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী হবে, কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে এবং নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের আইন ও বিধি ভঙ্গ করলে শাস্তির আওতায় আনা যাবে।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ফয়েজ আহ্মদ।
নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, কমিশন বা রিটার্নিং অফিসারের আদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে না মানা, আইন লঙ্ঘন বা দায়িত্বে অবহেলা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। শাস্তি হিসেবে এক বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় হতে পারে। কমিশনের শাস্তি কার্যকর না হলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় আরোপ করা যাবে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান বা দুই বছরের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করতে পারবে।
সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, অসদাচরণ করলে কমিশন বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে দুই মাসের জন্য বরখাস্ত করতে পারবে। এই শাস্তি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দণ্ড হিসেবে গণ্য হবে। অসদাচরণের তথ্য ব্যক্তিগত নথি, সার্ভিস বুক ও বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে লিপিবদ্ধ থাকবে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ সংশোধন করে ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠন করা হবে। সরকার ও কমিশনের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রধান্য পাবে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, মন্ত্রণালয় স্বতঃপ্রণোদিত সংস্কারের তালিকা প্রোফাইল আকারে তৈরি করবে। ৭৭টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মধ্যে ২৪টি বাস্তবায়িত, ১৪টি আংশিক বাস্তবায়িত এবং বাকি ৩৯টি দ্রুত বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাষ্ট্র সফরে চার রাজনৈতিক নেতা তার সঙ্গে সফর করবেন। এবারের জাতিসংঘ অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ ও সংস্থাটির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তারা সেখানে অংশ নিচ্ছেন।