ঢাকার টঙ্গীতে রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দগ্ধ ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা (৩৮) মারা গেছেন। এ নিয়ে ঘটনায় মোট দুই ফায়ার ফাইটারের মৃত্যু হলো। বাকি দুই জনের অবস্থাও গুরুতর।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, নুরুল হুদা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে তিনটার দিকে তিনি মারা যান। তার শরীরের পোড়ার মাত্রা ছিল ১০০ শতাংশ।
২০০৭ সালে চাকরিতে যোগ দেওয়া নুরুল হুদা ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার আব্দুল মনসুরের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) একই ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ (৪০) মারা যান। তার শরীরেও ১০০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, বর্তমানে ফায়ার ফাইটার জয় হাসান ও ফায়ার অফিসার জান্নাতুল নাঈম সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। জান্নাতুল নাঈমের শরীরের ৪২ শতাংশ এবং জয়ের শরীরের পাঁচ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।