শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। তবে শুধু ঘুমের সময় নয়, ঘুমানোর ভঙ্গিও শরীরের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। হজমক্রিয়া, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থান অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কীভাবে ঘুমাচ্ছেন তার ওপর।
অনেকে এমন ভঙ্গিতে ঘুমান, যা দীর্ঘমেয়াদে শরীরে সমস্যা তৈরি করে। যেমন—হাঁটু ও হাত বুকের কাছে নিয়ে পাশ ফিরে শোয়া, বুকের ওপর ভর দিয়ে শোয়া কিংবা চিৎ হয়ে শোয়া। এসব ভঙ্গি পিঠ, ঘাড় ও মেরুদণ্ডে ব্যথা তৈরি করতে পারে, শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে এবং ঘুমের মানও নষ্ট করে।
স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য পাশ ফিরে শোয়া সবচেয়ে ভালো। এতে শ্বাসকষ্ট কমে, মেরুদণ্ড সঠিকভাবে সাপোর্ট পায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে সবসময় একই পাশে ঘুমানো উচিত নয়, মাঝে মাঝে দিক পরিবর্তন করলে শরীরের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না।
বিশেষ করে বাঁ দিকে শোয়া বেশি উপকারী। এতে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে, ঘাড় ও হাতে ব্যথা থেকে সুরক্ষা মেলে এবং শ্বাসকষ্টও অনেকটাই হ্রাস পায়।