বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বসবাসের অভিযোগে ইতালি, অস্ট্রিয়া, গ্রিস ও সাইপ্রাস থেকে ৫২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রথম দফায় ৩২ জন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। বাকি ২০ জনের ফেরতের তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। ফেরত আসা সবাই পুরুষ।
বাংলাদেশি দূতাবাস ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কয়েক দিন ধরে ফেরতের প্রস্তুতি চালাচ্ছে। ইউরোপ থেকে ফেরত পাঠানোদের নাম, ঠিকানা ও পাসপোর্ট নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে গেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিমানবন্দরে তাদের গ্রহণ করা হবে।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, যারা ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে, তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। শুরুতে ফেরত আসাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হলেও, শেষ দুই ধাপে ফিরে আসাদের হাতকড়া ও শিকল ব্যবহার করা হয়েছিল।
ফ্রন্টেক্সের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশিরা ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রধানত লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সেন্ট্রাল মেডিটেরিয়ান রুটে অন্তত ৭০,৯০৬ বাংলাদেশি প্রবেশ করেছেন। ২০২৪ সালের ব্র্যাক গবেষণায় দেখা গেছে, এক দশকের মধ্যে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়া মানুষের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ দশে রয়েছে।
সাগরপথে যাত্রার সময় মৃত্যুর ঝুঁকিও অনেক বেশি। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ সাগরপথে ইউরোপে গেছেন, এর মধ্যে প্রায় ২২ হাজারের মৃত্যু হয়েছে। এভাবে যাওয়ার চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের মধ্যে ২৬–৪০ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি। তাদের অধিকাংশ বাড়ি মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লায়।