সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বেতন নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন। পাশাপাশি বছরে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধিসহ মোট ২১টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন ফেডারেশনের নেতারা। সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, “২০১৫ সালের বৈষম্যপূর্ণ অষ্টম পে-স্কেল কার্যকরের পর থেকে কর্মচারীরা বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ও অন্যান্য দাবির জন্য আন্দোলন করে আসছেন। এবার আমরা আশা করছি সরকার বাজার পরিস্থিতি, ছয় সদস্যের পরিবারের ব্যয় ও বেতন বৈষম্য বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে।”
সংগঠনটি শিক্ষা, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা বৃদ্ধি, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল এবং রেশন ব্যবস্থা চালুর দাবিও জানায়।
এদিকে একই দিন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিডিপিএ) পৃথকভাবে জাতীয় বেতন কমিশন–২০২৫ এর কাছে ১৭ দফা প্রস্তাব জমা দেয়। তাদের প্রস্তাবে বেতন গ্রেড ২০ থেকে কমিয়ে ১২টি করা, সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।
বিডিপিএর প্রস্তাবে বলা হয়, সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:৪ এর মধ্যে রাখতে হবে; প্রয়োজনে সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকারও বেশি নির্ধারণ করতে পারে কমিশন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই গঠিত হয় জাতীয় বেতন কমিশন, যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।


