পাহা‌ড় ভ্রমণের সময় যেসব জরু‌রি সর্তকতা প্রয়োজন

পাহা‌ড় ভ্রমণের সময় যেসব জরু‌রি সর্তকতা প্রয়োজন
ছবি সংগ্রহীত

শীত আসলেই ভ্রমনপিপাসু মানুষেরা বের হয়ে পড়েন ভ্রমনের উদ্দেশ্যে।এক্ষেত্রে কেউ বেছে নেন বিশাল জলরাশির সমুদ্রকে, আরেক শ্রেনীর মানুষ যারা এডভেঞ্চার প্রেমী তারা বেছে নেয় পাহাড়কে।ভ্রমনের নেশায় পাড়ি দেন দূর্গম পাহাড়ে।ভ্রমনপিপাসুদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় পাহাড় হাইকিং ও ক্যাম্পিং।পাহাড় ভ্রমনের জন্য কেউ বেছে নেন শীতকে আবার কেউ বর্ষাকে।

এ যেন এক রোমাঞ্চকর অনুভুতি, প্রতিটা পাহাড় প্রেমী মানুষের জন্য। কিন্তু এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার প্রতিটা ধাপেই ওত পেতে থাকে হাজারও বিপদ।প্রতিনিয়তই পাহাড়ে নানা ধরনের দূর্ঘটনা ঘটছে, তাই বলে কি থেমে থাকবে পাহাড় ভ্রমন?পাহাড়ে অবশ্যই ভ্রমনপিপাসু মানুষেরা যাবেন উপভোগ করবেন পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।তবে,এক্ষেত্রে ভ্রমনকারীর কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

১.পাহাড়ে ভ্রমণকারিদের যাত্রার শুরুতেই পাহাড়ি এলাকার আবহাওয়া সম্পর্কিত জ্ঞান রাখতে হবে।এক্ষেত্রে ভ্রমনকারীকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্থানীয় আবহওয়া সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।অনেকসময় আবহাওয়ার কারণে রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হতে পারে। তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি বুঝে নেওয়া জরুরি।

২.উপযুক্ত পোশাক নির্বাচন করতে হবে।হাইকিং এর জন্য উপযোগী আরামদায়ক পোশাক ও জুতা সঙ্গে নেওয়া জরুরি।

৩.ব্যাগে খুব বেশি পোশাক বহন করা হলে পরবর্তীতে তা যন্ত্রনাদায়ক হয়ে উঠবে কেননা ব্যাগে নেওয়া সবকিছু নিজেকেই বহন করতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- ভ্রমণকারীর জন্য ব্যাগের ওজন যাতে সহজে বহন করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।তবে হ্যাঁ,ভ্রমনের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাজেট অবশ্যই নিতে হবে।

৪.শর্টকাটে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক রাস্তা বেছে নেওয়া উচিত নয়।দেরি হলেও ভালো রাস্তা দিয়ে যাওয়া উচিত তাতে দূর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকে।

৫.একজন পেশাদার গাইডকে সঙ্গে রাখা উচিত।গাইডের মাধ্যমে পাহাড়ের বিভিন্ন বিপজ্জনক পথ সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার এবং তা এড়িয়ে চলা উচিত।

৬.শীতে হাইড্রেটেড থাকা খুব জরুরি।শক্তি বজায় রাখার জন্য খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার।এ জন্য বিভিন্ন ফলমুলের পাশাপাশি হালকা খাবার সঙ্গে নিয়ে নিতে হবে। পর্যাপ্ত পানির চাহিদা পূরণের জন্য একটি রিফিল-যোগ্য পানির বোতল সঙ্গে রাখতে হবে।

৭.পাহাড়ি রাস্তায় প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় দেখা যায়।তাই সঙ্গে পোকা নিরোধক ঔষুধ রাখা উচিত।

৮.প্রয়োজনীয় কিছূ ওষুধপত্র যেমন-প্যারাসিটামল, নাপা, খাবার স্যালাইন ইত্যাদি সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।

৯.বর্ষায় পাহাড়ে জোঁক থাকে। জোঁকের জ্বালা থেকে বাঁচতে সঙ্গে গুল রাখতে হবে। আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করলে হোটেল থেকে বের হলে পাহাড়ে হাঁটার সময় পায়ে কেরোসিন লাগিয়ে নিতে হবে।

১০.ফ্ল্যাশলাইট এবং পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখতে হবে।

১১.সূর্যের অতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচতে এক জোড়া সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন রাখতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাহা‌ড় ভ্রমণের সময় যেসব জরু‌রি সর্তকতা প্রয়োজন

পাহা‌ড় ভ্রমণের সময় যেসব জরু‌রি সর্তকতা প্রয়োজন
ছবি সংগ্রহীত

শীত আসলেই ভ্রমনপিপাসু মানুষেরা বের হয়ে পড়েন ভ্রমনের উদ্দেশ্যে।এক্ষেত্রে কেউ বেছে নেন বিশাল জলরাশির সমুদ্রকে, আরেক শ্রেনীর মানুষ যারা এডভেঞ্চার প্রেমী তারা বেছে নেয় পাহাড়কে।ভ্রমনের নেশায় পাড়ি দেন দূর্গম পাহাড়ে।ভ্রমনপিপাসুদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় পাহাড় হাইকিং ও ক্যাম্পিং।পাহাড় ভ্রমনের জন্য কেউ বেছে নেন শীতকে আবার কেউ বর্ষাকে।

এ যেন এক রোমাঞ্চকর অনুভুতি, প্রতিটা পাহাড় প্রেমী মানুষের জন্য। কিন্তু এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার প্রতিটা ধাপেই ওত পেতে থাকে হাজারও বিপদ।প্রতিনিয়তই পাহাড়ে নানা ধরনের দূর্ঘটনা ঘটছে, তাই বলে কি থেমে থাকবে পাহাড় ভ্রমন?পাহাড়ে অবশ্যই ভ্রমনপিপাসু মানুষেরা যাবেন উপভোগ করবেন পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।তবে,এক্ষেত্রে ভ্রমনকারীর কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

১.পাহাড়ে ভ্রমণকারিদের যাত্রার শুরুতেই পাহাড়ি এলাকার আবহাওয়া সম্পর্কিত জ্ঞান রাখতে হবে।এক্ষেত্রে ভ্রমনকারীকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্থানীয় আবহওয়া সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।অনেকসময় আবহাওয়ার কারণে রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হতে পারে। তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি বুঝে নেওয়া জরুরি।

২.উপযুক্ত পোশাক নির্বাচন করতে হবে।হাইকিং এর জন্য উপযোগী আরামদায়ক পোশাক ও জুতা সঙ্গে নেওয়া জরুরি।

৩.ব্যাগে খুব বেশি পোশাক বহন করা হলে পরবর্তীতে তা যন্ত্রনাদায়ক হয়ে উঠবে কেননা ব্যাগে নেওয়া সবকিছু নিজেকেই বহন করতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- ভ্রমণকারীর জন্য ব্যাগের ওজন যাতে সহজে বহন করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।তবে হ্যাঁ,ভ্রমনের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাজেট অবশ্যই নিতে হবে।

৪.শর্টকাটে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক রাস্তা বেছে নেওয়া উচিত নয়।দেরি হলেও ভালো রাস্তা দিয়ে যাওয়া উচিত তাতে দূর্ঘটনার ঝুঁকি কম থাকে।

৫.একজন পেশাদার গাইডকে সঙ্গে রাখা উচিত।গাইডের মাধ্যমে পাহাড়ের বিভিন্ন বিপজ্জনক পথ সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার এবং তা এড়িয়ে চলা উচিত।

৬.শীতে হাইড্রেটেড থাকা খুব জরুরি।শক্তি বজায় রাখার জন্য খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার।এ জন্য বিভিন্ন ফলমুলের পাশাপাশি হালকা খাবার সঙ্গে নিয়ে নিতে হবে। পর্যাপ্ত পানির চাহিদা পূরণের জন্য একটি রিফিল-যোগ্য পানির বোতল সঙ্গে রাখতে হবে।

৭.পাহাড়ি রাস্তায় প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় দেখা যায়।তাই সঙ্গে পোকা নিরোধক ঔষুধ রাখা উচিত।

৮.প্রয়োজনীয় কিছূ ওষুধপত্র যেমন-প্যারাসিটামল, নাপা, খাবার স্যালাইন ইত্যাদি সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।

৯.বর্ষায় পাহাড়ে জোঁক থাকে। জোঁকের জ্বালা থেকে বাঁচতে সঙ্গে গুল রাখতে হবে। আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করলে হোটেল থেকে বের হলে পাহাড়ে হাঁটার সময় পায়ে কেরোসিন লাগিয়ে নিতে হবে।

১০.ফ্ল্যাশলাইট এবং পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখতে হবে।

১১.সূর্যের অতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচতে এক জোড়া সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন রাখতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত