বগুড়ায় চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী যুবককে দু’দফায় নির্যাতন

,
বগুড়ায় চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী যুবককে দু’দফায় নির্যাতন
চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী যুবককে নির্যাতন

বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের লাইলীপাড়া গ্রামে চোর সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মারধর করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷ নির্যাতিত যুবকের নাম সাব্বির হোসেন (২৩)।

৩ মিনিটের ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা গেছে, লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেদম মারপিট করছে বারপুর লাইলীপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী জনৈক আবুল হোসেন, রাকিব হাসান ও রাজন মিয়া নামের ৩ জন ব্যক্তি।

এই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে প্রথমে টেনে হিচড়ে মাটিতে ফেলে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। তারপর তার শরীরে লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে শুরু করে বেদম মারপিট। মারধরের এক পর্যায়ে আহত যুবকের হাত দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে বাধা হয়, আর পা দুটি বেধে রাখা হয় পাশের গাছের সাথে। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটি বারবার তাদের কাছে হাতজোর করে মাফ চাইলেও থামেনা মারধরের পরিমাণ।

যুবকটি একসময় পানি খেতে চাইলে এলাকার প্রভাবশালী আবুল হোসেন, রাকিব হাসান ও রাজন তাকে পানি না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় সাব্বির নামের অই যুবক তাদের পা ধরে মাফ চাওয়ার চেষ্টা করলে পুনরায় বেধড়ক প্রহার শুরু করে। একপর্যায়ে পাগলপ্রায় যুবকটি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। কিন্তু তাকে বাঁচাতে কেউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। তখনো উপস্থিত অনেককেই অশ্লীল ভাষায় বন্দি যুবককে গালিগালাজ করতে শোনা যায়। সে অজ্ঞান হবার পরে আহত যুবকের মুখের উপর পানি ছিটিয়ে হুশ ফেরানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত সহ আরো অনেকে। বেশ কিছুক্ষণ পরে তার জ্ঞান ফিরলে দ্বিতীয় দফায় মারপিট করে ওই প্রভাবশালী মহল।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছেলেটাকে অযথা মারধর করা হয়েছে। তার কাছে থেকে কোন চুরির মালামাল তো পাওয়ায় যায়নি। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি বলে অনেকেই জানে। তবুও কিছু ব্যক্তি তাদের ক্ষমতার জানান দিতে এইভাবে হাত পা বেধে নির্যাতন করলো। স্থানীয়ভাবে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এই ঘটনায় কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তবে এই মারপিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সচেতন মহলে উঠেছে নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড়।

সচেতন অনেকেরই প্রশ্ন, একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের কি সুস্থভাবে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার নেই?? সে যদি প্রকৃত অপরাধীও হয় তবুও কি এইভাবে নির্মম নির্যাতন করার অধিকার কথিত মাতব্বরের আছে? তারা কেন নিজের হাতে আইন তুলে নিলো? তার উপর এমন অকল্পনীয় নির্যাতনের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার সাথে হওয়া এমন জঘন্য অপরাধের সাথে যারা জড়িত সেইসব অপরাধীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন বগুড়ার সুধী ও সচেতন মহল।

এ বিষয়ে জানতে নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বগুড়ায় চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী যুবককে দু’দফায় নির্যাতন

বগুড়ায় চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী যুবককে দু’দফায় নির্যাতন
চোর সন্দেহে প্রতিবন্ধী যুবককে নির্যাতন

বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা ইউনিয়নের লাইলীপাড়া গ্রামে চোর সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে মারধর করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷ নির্যাতিত যুবকের নাম সাব্বির হোসেন (২৩)।

৩ মিনিটের ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা গেছে, লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেদম মারপিট করছে বারপুর লাইলীপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী জনৈক আবুল হোসেন, রাকিব হাসান ও রাজন মিয়া নামের ৩ জন ব্যক্তি।

এই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে প্রথমে টেনে হিচড়ে মাটিতে ফেলে দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। তারপর তার শরীরে লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে শুরু করে বেদম মারপিট। মারধরের এক পর্যায়ে আহত যুবকের হাত দড়ি দিয়ে পিছমোড়া করে বাধা হয়, আর পা দুটি বেধে রাখা হয় পাশের গাছের সাথে। মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকটি বারবার তাদের কাছে হাতজোর করে মাফ চাইলেও থামেনা মারধরের পরিমাণ।

যুবকটি একসময় পানি খেতে চাইলে এলাকার প্রভাবশালী আবুল হোসেন, রাকিব হাসান ও রাজন তাকে পানি না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় সাব্বির নামের অই যুবক তাদের পা ধরে মাফ চাওয়ার চেষ্টা করলে পুনরায় বেধড়ক প্রহার শুরু করে। একপর্যায়ে পাগলপ্রায় যুবকটি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। কিন্তু তাকে বাঁচাতে কেউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। তখনো উপস্থিত অনেককেই অশ্লীল ভাষায় বন্দি যুবককে গালিগালাজ করতে শোনা যায়। সে অজ্ঞান হবার পরে আহত যুবকের মুখের উপর পানি ছিটিয়ে হুশ ফেরানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত সহ আরো অনেকে। বেশ কিছুক্ষণ পরে তার জ্ঞান ফিরলে দ্বিতীয় দফায় মারপিট করে ওই প্রভাবশালী মহল।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছেলেটাকে অযথা মারধর করা হয়েছে। তার কাছে থেকে কোন চুরির মালামাল তো পাওয়ায় যায়নি। সে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি বলে অনেকেই জানে। তবুও কিছু ব্যক্তি তাদের ক্ষমতার জানান দিতে এইভাবে হাত পা বেধে নির্যাতন করলো। স্থানীয়ভাবে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এই ঘটনায় কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। তবে এই মারপিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সচেতন মহলে উঠেছে নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড়।

সচেতন অনেকেরই প্রশ্ন, একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের কি সুস্থভাবে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার নেই?? সে যদি প্রকৃত অপরাধীও হয় তবুও কি এইভাবে নির্মম নির্যাতন করার অধিকার কথিত মাতব্বরের আছে? তারা কেন নিজের হাতে আইন তুলে নিলো? তার উপর এমন অকল্পনীয় নির্যাতনের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তার সাথে হওয়া এমন জঘন্য অপরাধের সাথে যারা জড়িত সেইসব অপরাধীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন বগুড়ার সুধী ও সচেতন মহল।

এ বিষয়ে জানতে নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত