বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের হজযাত্রীদের কথা ভেবে হজ ফ্লাইট শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সোমবার (২২ মে) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে বিমানের প্রথম ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট বিজি৩৪০১ মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে মদিনায় পৌঁছানোর কথা।
এবার চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা ও মদিনা গন্তব্যে ২০টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ বিমান। চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৩টি ও চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে সাতটি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
চট্টগ্রামে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে বিমান এখান থেকে সরাসরি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তিনি চট্টগ্রামবাসীর জন্য সরাসরি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট চালু করায় বিমান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে ঢাকার মতো চট্টগ্রাম থেকেও ‘রুট টু মক্কা’ সেবার আওতায় সৌদি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিমানের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার, হাব এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহ আলম, আটাবের চট্টগ্রাম অঞ্চলের চেয়ারম্যান মো. আবু জাফর।
অতিথিরা হোল্ডিং লাউঞ্জে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলকামনা করে হজযাত্রীদের সঙ্গে মোনাজাতে অংশ নেন।
জানাগেছে, এ বছর ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন বাংলাদেশি হজব্রত পালনের নিমিত্ত পবিত্র ভূমি সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে বিমান ৬১ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। প্রি-হজে মোট ১৬২টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এবছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর এর পাশাপাশি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি ৩০০১ গত ২১ মে ঢাকা থেকে জেদ্দা পৌঁছেছে। বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুন।
বিমান ২০১৮ সালে ৬২ হাজার ৭৯৬ জন, ২০১৯ সালে ৬৬ হাজার ২৮৬ জন ও ২০২২ সালে ৩০ হাজার ৩৬১ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছিল। ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রা বন্ধ ছিল।