লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সংষর্ঘের পর স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল, লক্ষ্মীপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ও নোয়াখালী জেনারেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় উপজেলার ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের দক্ষিন আঠিয়া বাড়িতে।
আহতরা হলেন আঠিয়া বাড়ির মৃত মিজানুর রহমানের স্ত্রী নুরুন নাহার,তার মেয়ে সামছুন নাহার শ্যামলী, মারজাহান আক্তার মিলি,আফসানা মীম,ইতি আক্তার, আঃ রহমানের স্ত্রী নূর জাহান,ছেলের বৌ রুমী আক্তার, মেয়ে প্রিয়া ও পায়রা আক্তার সহ ১০জন আহ হয়েছেন। খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আবদুল বারী সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষই বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলীপুর আঠিয়া বাড়ির মৃত মিজানুর রহমানের স্ত্রী নুরুন নাহার ও তার সন্তানদের নিয়ে নিজ বসতঘরের মেরামতের কাজ করায় পাশ্ববর্তী আঃ রহমান গংরা ওই সম্পত্তি ক্রয় করেছেন মর্মে এসময় তারা বাদা সৃষ্টি করলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাটির এক পর্যায়ে সন্ধার পর উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০জন আহত হয়েছেন।
আঃ রহমানের ছেলের বৌ প্রিয়া আক্তার জানান, আমরা মৃত মিজানের ছেলে ফয়েজের কাছ থেকে ২শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেছি। তার মা সেই বিক্রিকৃত সম্পত্তি দখল করে ঘর নির্মান করতে চাইলে আমরা তাদের বাদা প্রদান করলে আমার শাশুড়ী,ননদ,জ্বা সহ সকলকে এলোপাড়াড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
মৃত মিজানুর রহমানের স্ত্রী নুরুন নাহার জানান, আমার ছেলে ফয়েজের এখানে কোন সম্পত্তিই নাই বিক্রি করবে কোথা থেকে। আঃ রহমান ও তার লাঠিয়াল বাহিনী শক্তি প্রদর্শন করে বার বার আমাদের আমাদের সম্পত্তি দখল করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করলে আমার উপর মারধর শুরু করে। এসময় আমাকে বাঁচাতে আমার মেয়ে ও তার সন্তানরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরতর আহত করে।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
