নড়াইল শহরের প্রাণ কেন্দ্রের অবস্থিত‘কালিদাস ট্যাংক পুকুর’এর নাম পরিবর্তন কোনো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোন থেকে নয় এটা অসাবধানতাবশত হয়েছে, এর সাথে সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার কোন সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস।
সোমবার (২৯ মে) বিকেলে জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুন্ডু, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক মলয় নন্দী, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিখিল সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য খোকন কুমার সাহা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক স্বনীল সিকদার নীলসহ প্রমুখ।
মৌখিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, ১৯০৭ সালে তৎকালীন জমিদার কালিদাস দুই একর ৫ শতক জায়গার ওপর পুকুরটি খনন করেন। নামকরণ করা হয়- ‘কালিদাস ট্যাংক’। পরবর্তীতে পুকুরটি জেলা পরিষদের অধীন হয়। ‘কালিদাস ট্যাংক পুকুর’এর নাম পরিবর্তন করে ‘লাল মিয়া’ নামে বিউটিফিকেশনের জন্য নড়াইল পৌরসভা একটি প্রকল্প আনে, অনেকে এর জন্য সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিচ্ছে, এর সাথে সাম্প্রদায়িকতা জড়িত নয়, কোনো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোন থেকে নয় এটা অসাবধানতাবশত হয়েছে বলে হয় এর সাথে নড়াইল-২ এর সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার কোন সম্পর্ক নেই। এ বিষয়ে নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সাথেও কথা হয়েছে। তিনি (এমপি) এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের নিদের্শনা প্রদান করেছেন। এ প্রকল্প বন্ধ হয়নি জেলা পরিষদের সাথে পৌরসভার পুকুরের জমি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পেলেই জেলা পরিষদ করুক আর পৌরসভা করুক বিউটিফিকেশন হবে এবং তা কালিদাস ট্যাংক এর নামেই হবে। শহরের মহিষখোলা মৌজায় নড়াইল পৌর ভবনের লাগোয়া উত্তর পাশ্বের এ পুকুরটির অবস্থান। পুনড়াইলকুরটি দীর্ঘ বছর ধরে মজা অবস্থায় পড়ে ছিলো। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীন আই,ইউ,আই,ডি,পি নামে একটি প্রকল্পে ৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস.এম সুলতানের ডাক নাম লাল মিয়ার নামে ‘লাল মিয়া পুকুর বিউটিফিকেশন’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। পুকুরটি গভীরকরণ, হাঁটাপথ, বসার ব্যবস্থা, আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন ধরণের সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে।
নড়াইল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুমান আরা বলেন, তিনি নামকরণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার পূর্ববর্তী মেয়রের সময়ে পুকুর বিউটিফিকেশনের প্রজেক্ট করার সময় কালিদাস ট্যাংক পুকুর নাম পরিবর্তন করে লাল মিয়া করা হয়েছে। এর সাথে তিনি জড়িত নন। তবে পুকুরটি পূর্বের নামে ফিরিয়ে আনতে কোনো বাঁধা নেই। এ ব্যাপারে তার সমর্থন রয়েছে।
