কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে সাধারণ ভোটাররা। এই নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে স্থানীয় প্রার্থী ও বহিরাগত প্রার্থী। ভোট কাকে দিলে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে- এমন প্রশ্নে বিব্রতকর অবস্থায় তারা।
এদিকে কক্সবাজারে পৌরসভার মোট ভোটারের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ভোটারের আদি নিবাস কক্সবাজার শহরে নয়। বাহির থেকে এসে কক্সবাজারে স্থায়ী হওয়া ভোটাররাও এখন চিন্তা করছে কাকে ভোট দিলে তারা নিরাপদ হবেন।
প্রধান দুই প্রার্থীর মধ্যে নৌকার মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী মাশেদুল হক রাশেদ ও তার সমর্থকেরা নৌকার মাহবুবকে বহিরাগত অভিযোগ তুলে ভোটারের মাঝে। আঞ্চলিকতার টান তুলতে ব্যাপক ভাবে বহিরাগত ইস্যুটি প্রচারনা করছেন।
মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী ও মাশেদুল হক রাশেদ দুজনের জন্মই কক্সবাজার শহরে। এছাড়া দুইজনের পিতারও জন্ম এই পর্যটন শহরেই।
দীর্ঘ দুই দশক কক্সবাজারর জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন মাহাবুব। এই দুই প্রার্থী বিগত ৫ বছর কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের একই কমিটিতে যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মাশেদুল হক রাশেদের পিতা একেএম মোজাম্মেল হক কক্সবাজার পৌর সভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আর মাহাবুব কক্সবাজার পৌরসভার টানা ২১ বছর কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরি মধ্যে মাহাবুব প্রায় ৩ বছর কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছেন।
হঠাৎ করেই ভোটের মাঠে স্থানীয় ও বহিরাহত ইস্যু উঠে আসায় বিব্রত ভোটাররাও।
যে পৌর পিতা সব ভেদাভেদ ভূলে পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা দিয়ে যাবে,অনবরত পাশে থাকবে জনগণের কাতারে,যার উপর ভরা করা যায় অনায়াসে মূলত তাকেই নিজের পছন্দের ভোটটি প্রদান করবে এমনটা প্রত্যাশা কক্সবাজার পৌরবাসীর।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ জুন সোমবার ইভিএম পদ্ধতিতে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। কক্সবাজার পৌরসভায় মোট ৪৩ টি ভোট কেন্দ্রে ২৪৪ টি বুথ রয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী আরো ১৪ টি বুথ রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় কক্সবাজার পৌরসভায় মোট ৯৫ হাজার ৩৮৬ জন ভোটার রয়েছে। তারমধ্যে, ৫০ হাজার ১৮৪ জন পুরুষ ভোটার এবং ৪৫ হাজার ২০২ জন মহিলা ভোটার।