রাঙামাটি শহরের রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছু উশৃঙ্খল পাহাড়ী ছেলে দলবেঁধে দুইজন বাঙালি ছেলেকে ব্যাপক মারধর করে মারাত্মক ভাবে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ১ টার সময় শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আজ সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখা।
বিবৃতিতে (পিসিসিপি) উল্লেখ করে, যাকে মারধর করেছে মোঃ ফাহাদ হলো রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। সে ক্লাস কেপ্টেন ছিলো, ক্লাসে কে কে নিয়মিত আসে না টিচার জিজ্ঞেস করলে মোঃ ফাহাদ কেপ্টেন হিসেবে নাম বলে। সে ক্লাসে অনেকজনকেই দেখিয়ে দিলে তার মধ্যে বাঙালিও ছিলো আর কিছু চাকমা ছাত্র ছিলো। এরমধ্যে দুজন চাকমা ছাত্র তাদের বড় ভাই পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র কিছু সন্ত্রাসী ছেলেকে বলে যে ফাহাদ ক্লাসে টিচারকে দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা নিয়মিত ক্লাসে আসে না। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তখন তারা পিসিপি’র ছেলেরাসহ চাকমা ছাত্ররা একসাথে হয়ে বাঙালি ছেলে ক্যাপ্টেন ফাহাদ ও ইসমাইল হোসেনকে বিদ্যালয়ের সামনে ব্যাপক মারধর করে আহত করে। তারা বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করে, যে শুধুমাত্র আজ নয় এর আগেও উক্ত বিদ্যালয়ে প্রায় সময় পাহাড়ী ছেলেরা নিজেদের আধিপত্য দেখানোর জন্য সেখানে বাঙালি ছাত্রদের মারধর করে। এছাড়াও রানী দয়াময়ী স্কুলের সামনে ও তার আশপাশ এলাকায় শিল্পকলা একাডেমী, কে কে রায় সড়ক এইসব এলাকায় প্রায় সময় বাঙালি শিক্ষার্থী ও পথচারীদের উপর হামলা করে পাহাড়ী সন্ত্রাসী ছেলেরা। উক্ত এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে সব সময় স্থায়ীভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল দেওয়ার দাবি সচেতন মহল সব সময়ই জানিয়ে আসছিলো। তাই উক্ত এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি।
বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ হাবীব আজম বলেন, আজ বাঙালি শিক্ষার্থী মোঃ ফাহাদ ও ইসমাঈল হোসেনের উপর পাহাড়ী সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলা করে আহত করায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে এই হামলার আমরা তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে যারা হামলার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
