নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের দেবভোগ গ্রামে নদীর পাড়ে বসবাস করেন সুচিত্রা রায় নামে (৮০) বছরের এক বৃদ্ধা বিধবা নারী। তার স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর নামে সকল সম্পত্তি ওই বিধবা নারী ভোগ করে আসছেন। সুচিত্রা রায়ের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। ছেলে ভারতে বসবাস করেন। মেয়ে দিপ্তি রানীকে বিয়ে দেন যশোরের কমলাপুর গ্রামে। ওই দীপ্তি রানীর চোখ পড়ে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তির উপর। বাবার সম্পত্তি আগ্রসন করতে স্বামীকে নিয়ে উঠে পড়ে বাবার বসত বাড়িতে। দীর্ঘ ২ বছর বসবাস করেন বাবার বাড়িতে দীপ্তি রানি। সম্প্রতি সময় ওই বিধবা মায়ের ছেলে বাড়িতে আসতে চাইলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন দীপ্তি রানি। বাবার কোন সম্পত্তি তাকে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মাকে। তার এই অপকর্মে বাঁধা দেওয়ায় ৮০ বছরের বৃদ্ধা মাতা কে বেধড়ক মারপিট করেন দীপ্তি রানী ও তার স্বামী । মারপিটের এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করো তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
বিধবা মাতা শেখহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু পরিতাবের পিতার সম্পত্তির অতিলোভী দীপ্তি রানী চেয়ারম্যানের ডাকে হাজির না হয়ে তার মাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। শুধু তাই নয় তার মাকে সাহায্যে কারী প্রতিবেশীদের নামে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দেওয়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছেন । এব্যাপারে অভিযুক্ত দীপ্তি রানী বলেন, বাবার সম্পত্তি আমি পাবো। ভাই তো অনেক আগেই ভারতে চলে গেছে। তাকে কোন সম্পত্তি দেওয়া হবে না।
বিধবা সুচিত্রা রায় বলেন, আমার মেয়ে দীপ্তি রানী তার ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে আমাকে মারপিট করেছে। আমি বিষয়ে স্থানীয় ভাবে কোন প্রতিকার না পেয়ে চেয়ারম্যানকে লিখিত ভাবে জানিয়ে ছিলাম। তার পর ও কোন সুরাহ হয়নি। আজ আদালতে মামলা করতে আসলাম তবে টাকার অভাবে মামলা করতে পারলাম না ভিক্ষা করে টাকা যোগাড় করে দীপ্ত রানীর বিরুদ্ধে মামলা করবো।