এ যেনো পরাজিত সৈনিকের প্রাণপণ লড়াইয়ের খেতাব পাওয়া! যা অনুমেয়ই ছিল হয়তো। থাকবে না কেনো? নিজেকে প্রমাণ করেছেন বারবার। সেটিরই স্বীকৃতি মিলল। দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ ফুটবল মঞ্চে তাই গোলরক্ষক হিসেবে সেরার মুকুটটি পেলেন আনিসুর রহমান জিকো।
নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশ ফুটবল দলের অন্যতম সেরা এই তারকা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে চব্বিশ ফুট চওড়া ও আট ফুট উঁচু গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শেষ খেলাটার কথাই বলা যাক না! কুয়েতের বিপক্ষে সেমিফাইনালের ৯০ মিনিটের খেলা ১১৩ মিনিটে ঠেলে নেওয়ার পেছনে অবদানের তালিকা করলে প্রথম যে নামটি আসবে, তার নাম জিকো। গোলবারে দাঁড়িয়ে কুয়েতের মুহুমুহু আক্রমণ ঠেকিয়েছেন। দেখিয়েছেন, বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ব্যাঙ্গালোরে ২০২৩ সালের সাফের ফাইনাল খেলার পর পুরস্কার বিতরণীর সময় ঘোষণা করা হয় টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকা।
সেখানেই সেরা গোলরক্ষক হিসেবে ঘোষণা করা হয় আনিসুর রহমান জিকোর নাম।
বুধবার বিষয়টি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বাংলার এই অতন্দ্র প্রহরী।
ছোট্ট করে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, দ্য বেস্ট গোলকিপার অব সাফ টুর্নামেন্ট বিডি। সঙ্গে মাসল ও ভালোবাসার ইমোজি।
লেখার সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় তোলা ছবি। পাশে দলনেতা জামাল ভূঁইয়াও।
শনিবার বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কুয়েতের সঙ্গে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। সোমবারই দেশে ফিরে আসেন ফুটবলাররা। ফলে পুরস্কারটি সরাসরি হাতে নিতে পারেননি জিকো। তার পক্ষে টুর্নামেন্টের পরিচালক সৈয়দ আসিফ হোসাইন ট্রফি সংগ্রহ করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরবর্তীতে সেটি তার কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।