সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তালবাহানা না করে সরকারকে পতত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
বুধবার (৫ জুলাই) রাজধানীর তোপখানা রোডে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের মুলতবি সভা শেষে নেতারা এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারের পদত্যাগের প্রশ্নে তালবাহানা করার কোনও অবকাশ নেই। সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার ও সরকারী দলের অবৈধ ক্ষমতা আঁকড়ে থাকারও কোনও সুযোগ নেই। ২০১৪ আর ২০১৮ সালে নজিরবিহীন ভোট জালিয়াতি আর একতরফা নির্বাচনী তামাশার পর এই সরকারের অধীনে আর একটি সাজানো নীল নকশায় জাতীয় নির্বাচনের প্রশ্নটাই অবান্তর।
দম্ভ ও কূটকৌশল পরিহার করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও জাতীয় সংসদ বাতিল করে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় সরকার ও সরকারি দলের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু।
সভার প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেই কেবল সরকার ও সরকারি দলের সাথে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এর আগে, সরকার ও সরকারি দলের কোনও ফাঁদেই বিরোধী দলগুলোর পা দেবার কোনও অবকাশ নেই।
সভার প্রস্তাবে চলমান গণসংগ্রামকে আরও জোরদার করতে আন্দোলনরত সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আন্দোলনের যৌথ ঘোষণা অগণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভায় বলা হয়, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজসহ অতি আবশ্যক খাদ্যপণ্যের ‘ফ্রি স্টাইল; মূল্যবৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করা হয় এবং বলা হয় সরকারের ব্যর্থতায় বাজারে পুরোপুরি নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে।
সভায় আগামী ৭ জুলাই মঞ্চের পরবর্তী সভার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
